অসমে ভয়াবহ বন্যা। তার জেরেই গৃহহীন প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ। বন্যার জেরে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। পরিস্থিতি এমনই যে স্রোতের তোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনের অনেকগুলো বগির উল্টে যাওয়ার ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। মঙ্গলবারও বন্যায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা দফতর।
এদিকে মৃত্যুপুরী অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে বন্যার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। বন্যা মোকাবিলায় অসমকে সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এবিষয়ে অমিত শাহ এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, "অসমের বন্যা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ইতিমধ্যেই সেখানে এনডিআরএফ দল মোতায়েন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে’।
আরও পড়ুন: ধারা ৩৭০ বিলোপের পর প্রথম অমরনাথ যাত্রা, সুরক্ষায় অভূতপূর্ব ব্যবস্থা কেন্দ্রের
ভারী বৃষ্টি ও ব্যাপক ধসের জেরে অসমের ডিমা হাসাও জেলার হাফলংয়ে বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা। ট্রেনে আটকে পড়া অধিকাংশ যাত্রীকে এয়ার লিফট করে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টি এবং ধসের জেরে গত শনিবার থেকে লামডিং-বদরপুর রুটে ১৮টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে রেললাইন মেরামতির কাজ ।
অবিরাম বর্ষণে ১৪ টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। ভাসছে বিশ্বনাথ, বোঙ্গাইগাঁও, কাছাড়, ধেমাজি, ধুবরি, ডিব্রুগড়, হোহাই, কার্বি আংলং, কোকরাঝাড়, লখিমপুর, নাবালগাঁও, জোড়হাট ও কামরুপ । ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে ডিমা হাসাও, হাইলাকান্দি এবং করিমগঞ্জ।
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে জাতীয়সড়ক এবং পাঁচটি রাজ্যসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত । বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্যুৎ ও মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। লামডিং-বদরপুর এলাকায় ৫০টির বেশি স্থানে ভুমিধসের কারণে ত্রিপুরা, মণিপুর, মিজোরাম এবং দক্ষিণ আসামের বিস্তীর্ণ অংশে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
বন্যার কারণে বাতিল করা হয়েছে একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষাও। রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা এই বিষয়ে এক নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশে জানানো হয়েছে ১ জুন পর্যন্ত সকল পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
Read full story in English