আসামে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লক্ষের নাম। এনআরসিতে তালিকাছুটদের আবেদনের সময়সীমা ধার্য করা হয়েছিল ১২০ দিন। অর্থাৎ ১২০ দিনের মধ্যে তাঁদের বিশেষ আদালতে আবেদন করতে হবে। কিন্তু সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এই আবেদনের সময়সীমা পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ অগাস্ট আসাম এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। যে তালিকায় বাদ পড়েছে ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের নাম। আবেদনের জন্য ৩১ অগাস্ট থেকেই ১২০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যেহেতু এনআরসি-র কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলাকে প্রথমে এনআরসির তথ্য সুরক্ষিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এনআরসি তালিকা থেকে যাদের নাম বাদ পড়েছে, তাঁদের হাতে একটি নথি তুলে দেওয়া হবে। সেই নথির মাধ্যমেই তাঁরা বিশেষ আদালতে আবেদন করতে পারবেন। তাই এই কাজ সম্পূর্ণ করাই এখন ‘ফার্স্ট প্রায়োরিটি’। আর সে কারণেই এই প্রক্রিয়ার জন্য ১২০ দিনের সময়সীমা পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নুন-রুটির আগে মিডডে মিলে নুন-ভাতও খেয়েছে উত্তর প্রদেশ স্কুলের শিশুরা
এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেই আদালতকে জানাবেন এনআরসি কো-অর্ডিনেটর। তারপর থেকেই ১২০ দিনের সময়সীমা ধার্য করা হবে। অর্থাৎ যেদিন থেকে আবেদনকারীরা হাতে ওই নথি পাবেন, তারপর থেকে এই কাউন্টডাউন শুরু করা হবে’’।
আরও পড়ুন: মাসুদ আজহার-দাউদ ইব্রাহিম-হাফিজ সৈয়দকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণা করল ভারত
প্রসঙ্গত, ৩ কোটি ৩০ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৬১ জন আবেদনকারীর মধ্যে এনআরসি তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন ৩ কোটি ১১ লক্ষ ২১ হাজার ৪ জন। জাতীয় নাগরিকপঞ্জীর তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের নাম। এনআরসি তালিকা থেকে যাদের নাম বাদ পড়েছে, তাঁরা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন। সরকারের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কাউকে বিদেশি হিসেবে গণ্য করা হবে না। এই ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে যদি কেউ হেরে যান, তাহলে তাঁরা হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারবেন। অন্যদিকে, যদি কারও নাম এনআরসি চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়ে, আবার ট্রাইব্যুনালেও হেরে যান ওই আবেদনকারী, তাহলে গ্রেফতারির মুখে পড়তে পারেন তিনি। আবেদনের জন্য ৩০০টি ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল খোলা হয়েছে।
Read the full story in English