দ্বিতীয়বারের জন্য মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে আসামে এনআরসি চালু করতেই অশান্ত হয়েছিল ভারতের উত্তরপূর্ব ভাগ। সিএএ আসতেই সেই আগুনেই পড়েছিল ঘৃতাহুতি। এবার ফের সেই ধর্ম এবং শিক্ষা নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন আসামের শিক্ষামন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
আরও পড়ুন: আসামে বিজেপির চিন্তার কারণ হচ্ছে ‘মিঞা কবিতা এবং আজমলরা’
গুয়াহাটির শ্রীমন্ত শঙ্করদেভা কলাক্ষেত্রে সরকারের একটি অনুষ্ঠানে এসে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে আসামের শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, "সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত মাদ্রাসা ও সংস্কৃত টোল (স্কুল) বন্ধ করে সেগুলিকে “সাধারণ” উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিবর্তিত করা হবে। আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারণ আরবি বা অন্য কোনও ভাষা বা কোনও বিষয়ে ধর্মীয় পাঠ শেখানো সরকারের দায়িত্ব নয়।"
আরও পড়ুন: ভারতে আসছেন ট্রাম্প, বস্তি ঢাকতে প্রাচীর উঠল আহমেদাবাদে
অনুষ্ঠান থেকেই হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়ে দেন যে আগামী চার পাঁচ মাসের মধ্যেই এই সিদ্ধান্তটি কার্যকর করা হবে। তিনি আরও বলেন, "তিনি আরও যোগ করেছেন, “যদি কেউ ধর্ম সংক্রান্ত শিক্ষা নিজস্ব অর্থ ব্যয় করে নেয় তবে তা ঠিক আছে। তবে রাষ্ট্রীয় তহবিল ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা যায় না”। গুয়াহাটির সরকারী কর্মসূচির পরে বিজেপি নেতা এমন মন্তব্য করলেও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ‘ধর্ম বাঁচানোর জন্য নয়, স্কুল কলেজ তৈরির জন্য সরকার নির্বাচন করেছি’, মোদীকে তোপ কানহাইয়ার
হিমন্ত বিশ্বশর্মার কথা মেনেই যদি কাজ হয়, সেক্ষেত্রে কতটা অসুবিধায় পড়তে হতে পারে মাদ্রাসাগুলিকে? আসামের মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ইমরান হুসেন বলেন, “আমরা এই ঘোষণার বিষয়ে এখনও অফিসিয়াল বিবৃতি পাইনি। আমরা সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকেই বিষয়টি জানতে পারলাম।" হুসেনের মতে, আসাম জুড়ে রাজ্য মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ৭০৬টি মাদ্রাসা রয়েছে। রয়েছে বহু বেসরকারি মাদ্রাসাও। প্রসঙ্গত, অবিভক্ত আসাম থাকার সময় থেকেই রাজ্য মাদ্রাসা বোর্ড তৈরি হয়েছিল আসামে। গুয়াহাটি ভিত্তিক সমাজকর্মী আবদুল কালাম আজাদ বলেন, "নতুন সিদ্ধান্তটি অর্থহীন। যেহেতু সরকার মাদ্রাসাগুলির জন্য আসলে কিছুই করছে না। যে সাহায্যের প্রয়োজন তা করা হচ্ছে না।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন