/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/01/india-unsc-759.jpg)
রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের অ্যাম্বাসেডর এবং স্থায়ী প্রতিনিধি সৈইদ আকবরুদ্দিন। ফাইল চিত্র
জম্মু-কাশ্মীরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত রাজ্যে হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকেই গোটা বিষয়টি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে সরব হয়েছে পাকিস্তান, চীন। বৃহস্পতিবার ফের রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তৃতীয়বারের জন্য এই প্রসঙ্গ তুলল পড়শি দেশ চীন। যদিও 'প্রত্যাশিতভাবেই' ভারতের বিরুদ্ধে ওঠা কোনও অভিযোগই বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ হয়নি এই বৈঠকে, এমনটাই জানানো হয়েছে।
#WATCH New York: Syed Akbaruddin, India’s Ambassador & Permanent Representative to United Nations speaks on China holding an informal closed-door consultation on Kashmir in United Nations Security Council (UNSC). pic.twitter.com/vWPBUlu4K5
— ANI (@ANI) January 16, 2020
বৃহস্পতিবার বৈঠক শেষে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের অ্যাম্বাসেডর এবং স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরুদ্দিন বলেন, "আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে, পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা যে ভয়াবহতার ছবি এবং উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেছিলেন সেই সব ভিত্তিহীন অভিযোগকে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করা হয়নি।" আকবরুদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রপুঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা এই ইস্যুটিকে ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ইস্যু হিসেবেই মেনে নিয়েছেন। দ্বিপাক্ষিক স্তরেই এই আলোচনার সমাধান হওয়া উচিত বলেও মনে করেছেন তাঁরা। তিনি আরও বলেন, "পাকিস্তান ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমরা আশা করব যে ভবিষ্যতে তাঁরা সঠিক তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে যথাযথভাবে মনোনিবেশ করবে এবং ভারতের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখতে সচেষ্ট হবে।"
আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা বাতিলের পর প্রথমবার কাশ্মীর সফরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীগোষ্ঠী
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের 'সব পরিবেশের বন্ধু' চীনের দাবিতেই এই বৈঠক বলে রাষ্ট্রসংঘ সূত্রে খবর। বৈঠকের পরে রাষ্ট্রসংঘে চীনের রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে একটি বৈঠক করেছি। জম্মু কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রাখার জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কের বিষয়টি সবসময়ই রাষ্ট্রপুঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদের মাথায় ছিল। আমরা সেখানে উত্তেজনার পরিস্থিতিও দেখেছি। সেই কারণেই আজ সবপক্ষের মন্তব্য সংক্ষিপ্তসারে শোনা হয়েছিল।"
Read the story in English