জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা উমর খালিদের উপর হামলার ঘটনায় এখনও ফেরার অভিযুক্ত। ঘটনার এখনও কোনও কিনারা করতে পারল না দিল্লি পুলিশ। অন্যদিকে এবার এই ঘটনার সঙ্গে গুজরাতের বিধায়ক জিগ্নেশ মেবানি ও জেএনইউ-র পড়ুয়া শেহলা রশিদকে পাঠানো হুমকি মেসেজের যোগসূত্র খুঁজছে পুলিশ। জুন ও অগাস্ট মাসে জিগ্নেশ এবং শেহলাকে হুমকি মেসেজ পাঠানো হয়। ওই মেসেজে খালিদের ক্ষতি করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। যে নম্বর থেকে ওই মেসেজটি করা হয়েছিল, সেটি কোথাকার নম্বর তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ওই নম্বরটি কোনও বিদেশের নম্বর কিনা তা যাচাই করে দেখছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। এ প্রসঙ্গে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "কোন দেশ থেকে মেসেজ করা হয়েছিল, তা জানতে সার্ভিস প্রোভাইডারের সঙ্গে যোগাযোগ করছি আমরা।" কোন দেশ থেকে মেসেজ করা হয়েছিল তা জানতে পারলে, প্রেরকের সম্পর্কেও অনেক তথ্য জানা যাবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন, জেএনইউ-র ছাত্রনেতা উমর খালিদকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ
জিগ্নেশ মেবানি ও শেহলা রশিদকে পাঠানো ওই মেসেজের প্রেরক নিজেকে গ্যাংস্টার রবি পূজারি বলে পরিচয় দিয়েছে। গত কয়েক মাসে পুূজারির অবস্থান ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডে পাওয়া গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে একজন পুলিশ আধিকারিক বলেন, "পূজারির লোকেশন শেষ বার অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু প্রায়ই নম্বর বদলাচ্ছে সে।"
অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে উমর খালিদ জানান, "এ ঘটনায় লোধি রোডে স্পেশাল সেলে আমায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়েও কথা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য আমায় ওঁরা আরও একটি আবেদনপত্র জমা দিতে বলেছেন। ওঁরা জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।" উমরকে নিয়ে সেদিনের হামলার ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। গোটা ঘটনা সবিস্তারে বর্ণনা করেন উমর।
গত সোমবার দিল্লির রফি মার্গে কনস্টিটিউশন ক্লাবের বাইরে একটি চায়ের দোকানে উমর খালিদের উপর হামলা চালায় এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। হামলাকারী গুলি চালায় বলেও দাবি করেছেন জেএনইউ ছাত্রনেতা। যদিও সম্ভবত বন্দুক জ্যাম হয়ে যাওয়ার ফলে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়, বা আদপেই ছোড়া হয় নি।