দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউকালে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে অক্সিজেনের অভাবে। এখন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি একটি প্রতিবেদনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে অক্সিজেনের অভাবে কোভিডের মৃত্যুর তদন্ত করার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে।
সরকারের ভুমিকায় ক্ষুব্ধ কমিটি
সমাদবাদী পার্টির সদস্য রাম গোপাল যাদব বলেছেন, যে কমিটি সরকারের এই চরম উপেক্ষায় হতাশ এবং অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর সংখ্যা তদন্ত করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের কাছে সুপারিশও করেছে কমিটি। বিশেষত কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউকালে অধিকাংশ মানুষ মারা গিয়েছিলেন পর্যাপ্ত অক্সিজেনের অভাবে। সরকারকে এব্যাপারে জবাবদিহি করারও সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
কমিটির সদস্যরা আরও বলেন যে মন্ত্রকের উচিত রাজ্যগুলির সঙ্গে সমন্বয় করে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যুর অডিট করা এবং কোভিডের কারণে মৃত্যুর প্রকৃত পরিসংখ্যান বের করা। যা দায়িত্বশীল সরকারের একটি অন্যতম কর্তব্য। কমিটি বলেছে যে সরকারের কাছ থেকে স্বচ্ছতা্র সঙ্গে কোভিডে মৃত্যুর বিষয়টি সামনে আনা উচিৎ। সেই সঙ্গে কমিটি আরও বলেছে, সরকারের উচিত অক্সিজেনের মৃত্যুর বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে তদন্ত করা এবং নিহতদের পরিবারকে যথাযথভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিশ্চিত করা উচিত। প্যানেল তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: < ফের বাতিল ৫৪ ট্রেন, হাওড়া-বর্ধমান শাখায় চরম ভোগান্তির আশঙ্কা নিত্যযাত্রীদের >
অক্সিজেনের ঘাটতিও গণমাধ্যমে দেখানো হয়েছে
কমিটি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে যে রোগীদের পরিবার অক্সিজেনের জন্য অনুরোধ করা এবং অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য লাইনে অপেক্ষা করার অনেক উদাহরণ রয়েছে। মিডিয়া এই সময়ের মধ্যে হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবের বিষয়টি সামনে আনে এবং সেই নিয়ে একাধিক রিপোর্টও প্রকাশিত হয়। হাসপাতালগুলিতে মাত্র কয়েক ঘন্টা অক্সিজেন সরবরাহ ছিল, তাও সবাই দেখেছিল। দিল্লি সরকারকে এবিষয়ে তিরস্কারও করেছিল হাইকোর্ট । মিডিয়া রিপোর্ট গুলি এবিষয়ে জলজ্যান্ত প্রমাণ।
আসুন আমরা আপনাকে বলি যে 2021 সালের এপ্রিলে, দিল্লি হাইকোর্ট মেডিকেল অক্সিজেন বিতরণে কথিত অব্যবস্থাপনার জন্য দিল্লি সরকারকে তিরস্কার করেছিল। হাইকোর্ট ২০২১ সালের মে মাসে কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজ্যগুলি থেকে অব্যবহৃত অক্সিজেন ট্যাঙ্কারগুলি দিল্লিতে পাঠাতে বলেছিল যার পরে কোভিড -১৯- পরিস্থিতির খানিক উন্নতি হয়েছিল।