Advertisment

প্রত্যাহার করা হবে না সু কি-র নোবেল শান্তি পুরস্কার

নোবেল কমিটির সেক্রেটারি বলেন, "এ কথা মনে রাখতে হবে যে নোবেল পুরস্কার পদার্থবিদ্যা, সাহিত্য বা শান্তি, যে কারণের জন্যই দেওয়া হোক না কেন, তা দেওয়া হয় অতীত কৃতিত্বের জন্য।’’

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী মায়ানমারের সেনাবাহিনীর মুসলিম রোহিঙ্গা ‘গণহত্যার’ কারণে অং সাং সু কি-র নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রত্যাহার করা হবে না। গত বুধবার এমনটাই জানিয়েছে নোবেল কমিটি।

Advertisment

সোমবার রাষ্ট্রসংঘের অনুসন্ধানকারীরা জানান, মায়ানমারের সেনাবাহিনী জেনোসাইডের উদ্দেশ্যে গণহত্যা ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনানুসারে এ কারণে কম্যান্ডার ইন চিফ এবং পাঁচজন জেনারেলকে অভিযুক্ত করা উচিত।

আরও পড়ুন: মেহুলের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস এখনো দিল না ইন্টারপোল

১৯৯১ সালে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার পান অং সাং সু কি। তবে সম্প্রতি রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর যে নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়েছে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হননি সু কি। এ কারণে তীব্র নিন্দার মুখেও পড়তে হয় তাঁকে।  তবে এই কারণে যে তাঁর পূর্ব অর্জিত পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়া হবে না, একথাও স্পষ্ট করা হয়েছে।

গত বছর নোবেল কমিটির প্রধান বেরিট রেইস অ্যান্ডারসন বলেন, নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর রোহিঙ্গা ইস্যুর জন্য সু কি-র নোবেল নিয়ে নেওয়া হবে না। টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ''আমরা এটা করব না। একজন নোবেল বিজয়ী পুরস্কার জয়ের পর কী করছেন তার ওপর নজরদারি করা বা তার সমালোচনা করা আমাদের কাজ নয়। নিজেদের সম্মান  অক্ষুণ্ণ রাখার দায়িত্ব পুরস্কার বিজেতার নিজেরই।''

এ প্রসঙ্গে নরওয়ের নোবেল কমিটির সেক্রেটারি বলেন, "এ কথা মনে রাখতে হবে যে নোবেল পুরস্কার পদার্থবিদ্যা, সাহিত্য বা শান্তি, যে কারণের জন্যই দেওয়া হোক না কেন, তা দেওয়া হয় অতীত কৃতিত্বের জন্য।’’ তিনি বলেছেন, "১৯৯১ সাল পর্যন্ত গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য যে সংগ্রাম সু কি চালিয়েছিলেন, সে জন্যই তাঁকে নোবেল শান্তি পুরষ্কার দেওয়া হয়েছিল।’’ নিয়মানুসারে সে পুরস্কার প্রত্যাহার করা যায় না বলে জানিয়েছে নোবেল কমিটি।

nobel prize
Advertisment