আগামী ১৮ অক্টোবরের মধ্যে নিস্পত্তির চেষ্টা করতে হবে অযোধ্যা মামলা। সময় বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার, অযোধ্যা মামলার শুনানির সময় এই নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। নির্দেশে বলা হয়েছে, মামলাকারীরা চাইলে নিম্ন আদালতে গোপনে মধ্যস্থাতার বিষয়টি চলতে পারে। তবে, অযোধ্যা মামলার শুনানি প্রত্যেক দিন যেমন শীর্ষ আদালতে চলছে তেমনই চলবে।
বুধবার, শুনানির ২৬তম দিনে প্রধান বিচাপরতি রঞ্জন গগৈ বলেন, 'সবাইকেই চেষ্টা করতে হবে যাতে ১৮ই অক্টোবরের মধ্যে এই মামলার শুনানি শেষ হয়ে যায়।' মামলাকারীদের কাছে তাঁর প্রস্তাব, প্রয়োজনে শনিবার বেশি সময় ধরে শুনানি করা যেতে পারে। এর আগে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বাধীনে আবেদনকারীদের হাতেই রফাসূত্র বের করার দায়িত্ব দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু কোনও পক্ষই সহমত না হওয়ায় ফের প্রতিদিন শুনানি শুরু হয় সুপ্রিম কোর্টে।
আরও পড়ুন: মিশন রাজীব কুমার! আজই কলকাতায় গোপনে জাল পাতছে সিবিআই
সোমবার, আদালত নিযুক্ত মধ্যস্থাকারীদের তরফে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ও নির্বাণী আখড়ার তরফে তাদের চিঠিতে আবেদন করা হয় ফের অযোধ্যা মামলায় মধ্যস্থতা চালু করতে। এক্ষেত্রে তাদের পদক্ষেপ কী হবে? স্মারকলিপি দিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের কাছে জানতে চাওয়া হয়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পারে দু'টি চিঠিতে সপ্তাগহে পাঁচ দিন শুনানি ও রবিবার-সোমবার মধ্যস্থতার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গণপিটুনি বিরোধী’ বিলের খসড়ার সঙ্গে আইনের পার্থক্য, সরব বিরোধিরা
২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় অনুসারে, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিটির এক-তৃতীয়াংশ সুরক্ষিত সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দখলে। সেটিএ ছিল মূল মামলা। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা বর্তমানে চলছে তার অংশ নয় নির্বাণী আখড়া। তবে, শুনানির পাশাপাশি মধ্যস্থতাকীরা সমান্তরাল প্রক্রিয়ায় মামলা নিস্পত্তির বিষয়ে আগ্রহী। এক্ষেত্রে অবশ্য, শুনানিতে উঠে আশা যুক্তিগুলিকে বিবেচনা করা হবে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ইব্রায়াহিম কালিফুল্লার নেতৃত্বাধীন মধ্যস্থকারী কমিটিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট শ্রীরাম পঞ্চু ও আর্ট অফ লিভিং-এর প্রতিষ্ঠাতা রবিশঙ্কর। মামলার সব অংশীদারদের সঙ্গেই কথা বলেন তাঁরা। পরে বাড়ান হয় সময়সীমা। গত আগস্ট মাসেই মধ্যস্থাকারী কমিটির তরফে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেই রিপোর্ট অবশ্য কোনও পক্ষই মানতে রাজি হয়নি। ফলে, বলা হয় ভেস্তে গিয়েছে মধ্যস্থতার বিষয়টি। এরপরই অযোধ্যা মামলা দ্রুত শেষ করতে ৬ই আগস্ট থেকে প্রতিদিন শুনানির নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
Read the full story in English