নয়া মোড় নিল অযোধ্যা মামলা। নিজেদের অবস্থান বদলের ইঙ্গিত দিল সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, বিতর্কিত রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদের জমি সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে মীমাংসা সূত্র (সেটলমেন্ট) পেশ করেছে আদালত নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী প্যানেল। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার যদি জমি অধিগ্রহণ করে, তাহলে আপত্তি থাকবে না সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের। পরিবর্তে তাদের জন্য নতুন মসজিদ গড়ে দিতে হবে। পাশাপাশি অযোধ্যার মসজিদগুলি সংস্কার করতে হবে, যেখানে নমাজ পাঠ করা যাবে। এমন শর্তেই বিতর্কিত জমির উপর থেকে দাবি ছাড়তে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড রাজি বলে জানা যাচ্ছে।
ঠিক কী জানা গিয়েছে?
সূত্রের খবর, অযোধ্যা শুনানি শেষের দিন সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে গোপনে মীমাংসা সূত্র পেশ করেছে আদালত নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারী প্যানেল। অযোধ্যা জমি বিবাদ মামলায় ফয়সালা হিসেবে ওই প্রস্তাবে নিজেদের আপত্তি তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান। তাদের বক্তব্য, সরকার যদি চায়, তাহলে ওই জমি অধিগ্রহণ করতে পারে। পরিবর্তে তাদের জন্য আলাদা একটি মসজিদ গড়ে দিতে হবে এবং অযোধ্যায় অন্যান্য মসজিদগুলি সংস্কার করতে হবে। জানা যাচ্ছে, এ বিষয়ে রফাসূত্র বের করতে প্রায় একমাস সময় লেগেছিল। দিল্লি ও চেন্নাইয়ে এ নিয়ে ২-৩টি বৈঠক হয়।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে আরও অবনতি ভারতের, এগিয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল
তবে জমি নিয়ে আপত্তি তুলে নেওয়ার কথা তাঁরা জানাননি বলে দাবি করেছেন সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবীরা। যদিও বুধবার দিনভর এ খবর ছড়ায় যে, নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড।
প্রসঙ্গত, নির্দিষ্ট সময়ের ১ ঘণ্টা আগে বুধবার শেষ হয় বিতর্কিত রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদের জমি সংক্রান্ত মামলার শুনানি। বুধবার বিকেল ৪টায় সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার শুনানি শেষ করা হয়। অযোধ্যা মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। গত ৬ অগাস্ট থেকে এ মামলার দৈনিক শুনানি শুরু হয়েছিল।গতকাল শুনানি চলাকালীন নাটকীয় মুহূর্ত তৈরি হয়। এদিন আদালতে কিছু নথি পেশ করেন অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার আইনজীবী। এরপরই তীব্র আপত্তি করে মুসলিম পক্ষের আইনজীবী রাজীব ধাওয়ান। হিন্দু মহাসভার পেশ করা ওই বই, কিছু নথি ও ম্যাপ ছিঁড়ে ফেলেন ধাওয়ান। আদালতে ধাওয়ান সওয়াল করেন, হিন্দু মহাসভার ওই নথিকে সাক্ষ্য হিসেবে গণ্য করা যাবে না বলে জানান তিনি। এরপরই ওইসব নথি ছিঁড়ে ফেলা হয়।
Read the full story in English