রামের বিশালাকার মূর্তি গড়ার জন্য কয়েকটি জায়গা প্রাথমিক ভাবে বাছাই করে ফেলেছে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার। দেওয়ালির দিনে অযোধ্যায় এ কথা ঘোষণা করে দিলেন আদিত্যনাথ যোগী।
একদিন আগেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন ফৈজাবাদ জেলা এখন থেকে অযোধ্যা নামে পরিচিত হবে।
আরও পড়ুন, আহমেদাবাদের নাম বদলে এবার কর্ণাবতী করার ভাবনা বিজেপির
বুধবার অযোধ্যায় বিতর্কিত জমিতে অবস্থিত অস্থায়ী রাম মন্দিরে পুজো দেওয়ার পরে এ কথা ঘোষণা করেন আদিত্যনাথ যোগী। এদিন আদিত্যনাথ হনুমানগড়ি মন্দির, কনক ভবন এবং সুগ্রীব কেল্লাতেও গিয়েছিলেন।
অযোধ্যায় মঙ্গলবার দীপোৎসব উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রামের নামে একটি বিমানবন্দর এবং রামের বাবা দশরথের নামে একটি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের কথাও ঘোষণা করেছিলেন।
অযোধ্যায় রাম মন্দির নিয়ে কোনও সংশয়ের অবকাশ নেই বলে দাবি করে যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, ‘‘আমরা সবাই জানি যে অযোধ্যায় মন্দির রয়েছে। সব জায়গা থেকে মানুষ এখানে রামকে পুজো করতে আসেন, অন্য কাউকে নয়। মন্দির ছিল, মন্দির আছে, মন্দির থাকবে। এ নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই।’’
মানুষ রামলালার মূর্তির দাবি জানিয়েছেন এবং সরকার তা নিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়ে আদিত্যনাথের বক্তব্য, ‘‘আমাদের কাছে সবরকম দিকই খোলা রয়েছে। আমরা সাংবিধানিক ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি এবং আমরা সাংবিধানিক সীমার মধ্যে থেকেই সমস্যার সমাধান করব।’’
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুসারে জমি খোঁজার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘অযোধ্যা আরও কিছু কাজের জন্য় আমরা জমি খুঁজছি। জমি পাওয়া গেলেই আমরা সে কাজগুলি শুরু করে দেব। রামের একটি সুন্দর মূর্তির জমি পেয়ে গেলেই তৈরি করা হবে। আমরা এ নিয়ে কথাবার্তা বলছি। আজই আমরা দু-একটা জায়গা দেখেছি।’’
অযোধ্যার পরিচিতি রামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রয়েছে বলে জানিয়ে আদিত্যনাথ বলেছেন, "রামের মূর্তি থাকবে মন্দিরের ভিতরে। মানুষের বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে আমরা আমরা সমস্ত বন্দোবস্ত করব এবং অযোধ্যাকে তার নিজস্ব পরিচিতি দেব। বিভিন্ন স্থপতিরা মূর্তির ব্যাপারে বিভিন্ন মতামত দিয়েছেন এবং আমরা সেগুলি খতিয়ে দেখছি।’’
তিনি বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্র অযোধ্যার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। সরযূ নদীর স্বচ্ছতার ব্যাপারেও তাঁর সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার পর যোগী আদিত্যনাথ মন্তব্য করেছিলেন, কখনও কখনও ন্যায়বিচারে বিলম্বের অর্থ অবিচার।’’
Read the Full Story in English