অযোধ্যায় হবে রাম মন্দির। পৃথক জমিতে হবে মসজিদ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাগে ফেটে পড়লেন এআইএমআইএম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসি। অযোধ্যা রায় প্রসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট জবাব, 'শীর্ষ আদলত সর্বময় কিন্তু অভ্রান্ত নয়।' ওয়াইসির কথায়, 'এই রায়ে সন্তুষ্ট নই। শীর্ষ আদলত সর্বময় কিন্তু অভ্রান্ত নয়। আমাদের সংবিধানের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমাদের পাঁচ একর জমি দান করার কোনও প্রয়োজন নেই। মুসলমানদের সেই দান প্রত্যাখ্যান করা উচিত।'
এদিনই সুপ্রিম কোর্ট রায়ে জানিয়েছে, অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির হবে। বিকল্প পাঁচ একর জমি পাবে মুসলিমদের পক্ষের সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। যা ভারতের সর্বকালের ইতিহাসে ঐতিহাসিক রায় বলে গণ্য হচ্ছে। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বে শীর্ষ আদালতের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ শনিবার এই রায় দিয়েছে। সর্বসম্মতিক্রমে এই রায় বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। কেন্দ্রকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, আগামী তিন মাসের মধ্যে পরিকল্পনা করে ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করতে হবে।
২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দিয়ে জানিয়েছিল, অযোধ্যায় বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড, নির্মোহী আখড়া ও রামলালা বিরাজমানের মধ্যে সমান ভাবে ভাগ করতে হবে। এ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে ১৪টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। ওয়াইসির বক্তব্য, 'হাইকোর্টের রায়ে বাস্তব বিচারে রূপায়ণ করা যেত না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায় আমরা মানতে পারছি না।'
সুপ্রিম কোর্টের অযোধ্যা রায় নিয়ে 'সন্তুষ্ট নয়' সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ভাবচিন্তা করা হবে বলে জানানো হয়েছে সংগঠনের তরফে। আদালতে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের তরফে প্রতিনিধিত্ব করা জেড জিলানির কথায়, 'আমরা সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান করি। তবে, অযোধ্যা মামলার রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করবো।' যা সমর্থন করেছেন এআইএমআইএম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়াইসি।