কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার নাতনির মৃত্যু হল আত্মহত্যা করে। ডা. সৌন্দর্যের দেহ শুক্রবার সকালে বেঙ্গালুরুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারের পর সৌন্দর্যের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় শহরের ব্রাউনিং হাসপাতালে। সেখানে তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।
ইয়েদুরাপ্পার বড় মেয়ে পদ্মার মেয়ে সৌন্দর্য। বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক ছিলেন বছর তিরিশের এই যুবতী। তাঁর স্বামীও একজন ডাক্তার। দুজনে একসঙ্গে বেঙ্গালুরুর একটি আবাসনে থাকতেন। চার মাসের এক শিশুসন্তানও রয়েছে তাঁদের। পুলিশের অনুমান, মাতৃত্ব পরবর্তী অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন সৌন্দর্য।
জানা গিয়েছে, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই-সহ একাধিক বিজেপির নেতা-মন্ত্রী হাসপাতালে পৌঁছেছেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতীই হয়েছেন সৌন্দর্য। কিন্তু কেন এমনটা করলেন তিনি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নাতনির আত্মহত্যার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন দায়ের হয়েছে FIR, ড্যামেজ কন্ট্রোলে পড়ুয়াদের বনধ তোলার অনুরোধ বিহারের ‘খান স্যরের’
এদিন সকালে বেঙ্গালুরুর বসন্ত নগর এলাকার আবাসনের ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় সৌন্দর্যের। স্বামী নীরজ থানায় খবর দেন প্রথম। ২০১৯ সালে বিয়ে হয় তাঁদের। অস্বাভাবিক মৃত্যু ইয়েদুরাপ্পার পরিবারে প্রথম নয়। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে কর্ণাটকের শিমোগাতে নিজের বাড়ির জলের ট্যাঙ্কে ইয়েদুরাপ্পার স্ত্রী মৈত্রী দেবীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল।
ইয়েদুরাপ্পার স্ত্রীর রহস্যমৃত্যু নিয়ে তখন বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। রাজনৈতিক বিতর্কও হয়। পুলিশ তদন্ত করে সেই ঘটনার।