Advertisment

Bangladesh violence: থাকতে দেওয়া হবে না বাংলাদেশিদের, ভারতের জাতীয় পতাকা অবমাননায় চরম সিদ্ধান্ত এই রাজ্যের

Bangladesh violence: বাংলাদেশে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার বেড়েছে। ক্রমবর্ধমান নৃশংসতার বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ চলছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
bangladesh crisis.

বাংলাদেশে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার বেড়েছে।

Bangladesh violence:  বাংলাদেশে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার অনেকাংশে বেড়েছে। ক্রমবর্ধমান নৃশংসতার বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ চলছে। অসমের বরাক  ভ্যালি হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁ অ্যাসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি নাগরিককে হোটেলে থাকতে দেওয়া হবে না এবং কোনোভাবেই তাদের কোনরকমের সাহায্য করা হবে না।

Advertisment

বাংলাদেশের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে আগামী সপ্তাহে ঢাকা সফর করবেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি । হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে প্রতিবেশী দেশে হিন্দু সহ সংখ্যালঘুদের ওপর  হামলা অব্যাহত। ভাংচুর চালানো হচ্ছে মন্দিরে, আগুন ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে হিন্দুদের ঘরবাড়িতে। এনিয়ে ইতিমধ্যে  ভারত বাংলাদেশের ইউনূস সরকারকে কড়া বার্তা দিয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা রুখতে ইউনূস সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে ভারতের তরফে।   

এদিকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অসমের একাধিক জেলায় ব্যাপক বিক্ষোভের ছবি সামনে এসেছে। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর লাগাতার আক্রমণ ও ভারতের জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করায় বরাক উপত্যকার হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো এখন বাংলাদেশি হোটেল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  

কাছাড়, শ্রীভূমি (পূর্বে করিমগঞ্জ) এবং হাইলাকান্দি তিনটি জেলা নিয়ে গঠিত বরাক উপত্যকা ৷ বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের সঙ্গে ১২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে এই এলাকার। বরাক ভ্যালি হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাবুল রায় বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অবস্থা উদ্বেগজনক। এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এবং হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা বরাক উপত্যকার তিনটি জেলায় প্রতিবেশী দেশের কোনো নাগরিককে হোটেলে থাকতে দেব না। তিনি আরও বলেন, এটা আমাদের প্রতিবাদ জানানোর একটা উপায়"। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে নিশ্চিত করতে হবে যে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। পরিস্থিতির উন্নতি হলেই আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে রাজি'। 

সম্প্রতি ত্রিপুরায়, অল ত্রিপুরা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশিদের খাবার পরিবেশন করতে অস্বীকার করেছিল। হোটেল ও রেস্তোরাঁর মালিকরা এক  বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেন। এর আগে প্রতিবেশী দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে আইএলএস হাসপাতাল বাংলাদেশ থেকে কোনো রোগীর চিকিৎসা করবে না বলে ঘোষণা করেছিল।

Bangladesh Violence
Advertisment