Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর লাগাতার অত্যাচার, দিল্লি থেকে লখনউ পর্যন্ত বিক্ষোভ, সামিল মুসলিমরাও।
বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। দিল্লি থেকে লখনউ পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ পথে নেমে অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় সচেতনতা ও আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে এদিনের মিছিলের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নৃশংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। দিল্লি থেকে লখনউ পর্যন্ত কাতারে কাতারে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনসহ ২০০-এর বেশি স্থানে বিক্ষোভ চলছে। মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চও হিংসার প্রতিবাদ করছে। দিল্লির যন্তর মন্তরে এদিন বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন কয়েকশো মানুষ।
দিল্লি সিভিল সোসাইটি এবং ২০০ টিরও বেশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন একত্রিত হয়ে রাজধানী দিল্লিতে একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেছে। এই মিছিলটি তিন মূর্তি চক থেকে বাংলাদেশ দূতাবাস পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে চাণক্যপুরী থানার কাছে মিছিলটিকে আটকে দেয় পুলিশ। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় সচেতনতা ও আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে এদিনের এই পদযাত্রার আয়োজন করা হয় ।
আগস্টের পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতি হয়
আগস্টে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভের কারণে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার মাত্র কয়েকদিন পরই ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের লাগাম নেন। প্রতিবেশী দেশে এরপর থেকে ছড়াচ্ছে হিন্দু ও ভারত বিদ্বেষ।
সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা এবং মন্দিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার একাধিক ঘটনা সামনে আসে। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে বিক্ষোভকারীদের জোর করে প্রবেশের বিষয়টিও দুই দেশের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলে। গত কয়েক সপ্তাহে, প্রতিবেশী দেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে লাগাতার হিংসার পাশাপাশি মন্দিরগুলিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে, যাতে উদ্বেগ বেড়েছে নয়াদিল্লির। সোমবার বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ভারত বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়টি উত্থাপন করে।