Advertisment

বাংলাদেশে কোনও সংরক্ষণ প্রথা নয়, ঘোষণা শেখ হাসিনার

এ দেশ যা এখনও করে দেখাতে পারল না, বাংলাদেশ তা করে দেখাল। পড়ুয়াদের লাগাতার আন্দোলনের কাছে কার্যত মাথা নুইয়ে শেষ পর্যন্ত দেশে চাকরিতে সংরক্ষণ প্রথা তুলে দিলেন শেখ হাসিনা

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
বাংলাদেশে কোনও সংরক্ষণ প্রথা নয়, ঘোষণা শেখ হাসিনার

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি- ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

ছাত্রছাত্রীদের লাগাতার আন্দোলনের কাছে কার্যত মাথা নোয়াতে হল হাসিনা সরকারকে। শেষমেশ পড়ুয়াদের দাবি মেনে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন শেখ হাসিনা। এবার থেকে বাংলাদেশে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ পদ্ধতি আর থাকবে না বলে বুধবার ঘোষণা করেছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভে সরব হন হাজার হাজার পড়ুয়া। রাজধানী ঢাকার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধও করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অবশেষে শেখ হাসিনার এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশি আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা।

Advertisment

সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ প্রথা তুলে দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, পিছিয়ে পড়া ও প্রতিবন্ধী শ্রেণির মানুষদের চাকরির জন্য তাঁর সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নেবে।

আরও পড়ুন,আজ আবারও ভারত বনধ, অশান্তি এড়াতে তৎপর প্রশাসন

পড়ুয়াদের লাগাতার বিক্ষোভের কাছে কার্যত মাথা নোয়াল হাসিনা সরকার। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘পড়ুয়ারা যখন চাইছেন না, তখন সংরক্ষণ ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হবে’’। তিনি আরও বলেন যে, পড়ুয়ারা যথেষ্ট বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এবার ওরা ঘরে ফিরুক। পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে দেশের শিক্ষাঙ্গনে পঠনপাঠন যে ব্যাহত হয়েছে, সেকথাও বলেন হাসিনা। এমনকি, পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে সাধারণ মানুষেরও যে হয়রানি হয়েছে তাও উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

bharat bandh, india জাতের ভিত্তিতে শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে সংরক্ষণের বিরোধিতায় ১০ এপ্রিল ভারত বনধ পালিত হয়। ফাইল ছবি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

সংরক্ষণ ইস্যুতে পড়ুয়াদের আন্দোলন ঘিরে ঢাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কিছুদিন আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় একশো জনেরও বেশি পড়ুয়া জখম হন। গত রবিবার থেকে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ প্রথা তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা।

আরও পড়ুন,বিড়ি বন্ধে উদ্যোগী বাংলাদেশ সরকার, বন্ধ হচ্ছে জর্দা, গুল বিক্রিও

প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল এ দেশে কয়েকটি সংগঠন ভারত বনধ ডাকে। জাতের ভিত্তিতে শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে সংরক্ষণের বিরোধিতা জানিয়ে ভারত বনধ ডাকা হয়। বিহার, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই ইস্যুতে বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে। অশান্তি এড়াতে ওই দিন তৎপর ছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বেশ কয়েকটি এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকজন জখমও হন ওই দিন।

Bangladesh International news quota system
Advertisment