'আরে, নুপুর শর্মার ব্যাপারটা তো ভারতের নিজেদের ব্যাপার। এই নিয়ে আমরা মাথা গলাব কেন?'- কার্যত এমন মাছি তাড়ানোর ভঙ্গীতেই নুপুর বিতর্কে জল ঢেলে দিলেন বাংলাদেশের তথ্য-সম্প্রচারমন্ত্রী হাসান মেহমুদ। নুপুর শর্মা নিয়ে ইসলামিক রাষ্ট্রগুলো যখন ভারতকে চেপে ধরেছে, তখন এমনটাই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মেহমুদ বোঝালেন, বাংলাদেশ আছে ভারতের পাশেই।
Advertisment
বাংলাদেশেও ব্যাপক হারে পড়েছে নুপুর শর্মার মন্তব্যের প্রভাব। বড় বড় মিছিল বের করে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মৌলবাদীরা। নুপুর শর্মাকে গ্রেফতার থেকে ফাঁসি- দাবিতে কিছুই বাদ রাখছেন না। সেসবের প্রভাব কিন্তু, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে পড়তে দিতে নারাজ ঢাকা। সফররত ভারতীয় সাংবাদিকরা মেহমুদের কাছে নুপুর শর্মার মন্তব্য নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন। সেই ব্যাপারে বলতে গিয়ে মেহমুদ বলেন, 'প্রথম কথা, এটা বাংলাদেশের বাইরের ব্যাপার। এটা ভারতের নিজেদের ব্যাপার। বাংলাদেশের ব্যাপারই না। আমাদের এনিয়ে কিছু বলার নেই।'
মুসলিম জোটের অন্তর্গত বিশ্বের ৫৭টি দেশ অবশ্য ইতিমধ্যেই নুপুর বিতর্কে মুখ খুলেছে। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে, বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় মুখপাত্রের মন্তব্য নিয়ে। তীব্র প্রতিবাদ করেছে মন্তব্যের বিরুদ্ধে। এমনকী, নুপুর শর্মার কড়া শাস্তিরও দাবি করেছে। শুধু তাই নয়, তার মধ্যে একাধিক আরব দেশ আবার ভারতীয়দের ভিসা না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেউ কেউ আবার ভারতীয় পণ্য বয়কটের কথাও বলেছে। সেখানে বিক্ষোভের ছোঁয়াচ বাঁচানো বাংলাদেশের অবস্থান কি শেখ হাসিনা সরকারের জন্য নিরাপদ? বাংলাদেশ সরকার কি ঘরে বিরোধীদের আর ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর সামনে বাইরে বিপাকে পড়বে না?
এই প্রসঙ্গে মেহমুদের জবাব, 'আমরা কিন্তু, কোনও আপস করছি না। নবীর বিরুদ্ধে অবমাননা হলে, তা সে যেখানেই হোক না-কেন, আমরা দৃঢ়ভাবে তার নিন্দা করছি। তা সে অবমাননা যেখানেই ঘটুক না-কেন। কিন্তু, ভারত সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। এজন্য আমরা ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। এবার আইন তার নিজের পথে চলবে। তাহলে, এরপরও আমরা এই ইস্যুকে এত গুরুত্ব দেব কেন? এটা কি ইতিমধ্যেই যথেষ্ট গুরুত্ব পায়নি? কোনও বিষয়কে উসকে দেওয়াটা কিন্তু, আমার কাজ না।'