ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও বৈঠকে একথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঢাকার সঙ্গে নয়া দিল্লির সম্পর্ক আরও মজবুত করতে জোর দেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য় করেন মোদী। এদিন, দুই রাষ্ট্রনেতা যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
এ প্রসঙ্গে মোদী বলেন, ‘‘এটা আমার কাছে গর্বের যে, মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের উপর তৈরি ডিজিটাল প্রদর্শনী রিলিজ করছি আমি। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ওঁরা উদ্বুদ্ধ করতে থাকবেন’’।
করোনা অতিমারী মোকাবিলায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য়ে ভাল সমন্বয় রয়েছে বলে এদিন মন্তব্য় করেন প্রধানমন্ত্রী। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোদী সরকারেরও প্রশংসা করেন হাসিনা।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকে নামল ভারতের স্থান
এর আগে, গত মে মাসে মোদী-হাসিনা ফোনে কথা হয়েছিল। এক টুইটবার্তায় মোদী জানিয়েছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে কথা হয়েছে, তাঁকে ও বাংলাদেশের মানুষকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছি। আমফানের প্রকোপ ও কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই সংকটের সময় বাংলাদেশকে ভারত প্রয়োজনীয় সবরকম সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে আশ্বস্ত করেছি।’
উল্লেখ্য়, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বরাবরই মধুর। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ইস্য়ুতে দু’দেশের সম্পর্কে প্রভাব পড়েছে। যার মধ্য়ে অন্য়তম সিএএ ও এনআরসি ইস্য়ু। সিএএ পাসের পর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের দুই মন্ত্রীর ভারত সফর শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে যায়।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন