Bangladesh Krishna Das Prabhu Arrest: বাংলাদেশের চট্টগ্রামে সোমবার (২৫ নভেম্বর) ISKCON-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য চিন্ময় কৃষ্ণদাসকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। গ্রেফতারের প্রতিবাদে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ রাজপথে নেমেছে। অভিযোগ উঠেছে যে বিএনপি ও জামাতের কর্মীরা হিন্দুদের ওপর হামলা চালিয়েছে, যার ফলে প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। গভীর রাতে হাজার হাজার হিন্দু জয় শ্রী রাম এবং হর হর মহাদেব স্লোগান দিয়ে মৌলভী বাজারে একটি বিশাল মশাল মিছিল বের করে।
আহত বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, হিংসার ঘটনার সময় প্রশাসন ও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। শাহবাগ হামলার সময় পুলিশ ও প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে হামলার সময়ের ছবি।
Fighting between colleges have started in US-backed Noble Laureate ruled Bangladesh. Students carrying weapons attacking each other. Many casualties. Chaos at campuses. Situation grim pic.twitter.com/EwQbmKMPBM
— Megh Updates 🚨™ (@MeghUpdates) November 25, 2024
ISKCON-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারীর গ্রেফতারির কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস। তিনি বলেন, যা হয়েছে অত্যন্ত খারাপ। পাকিস্তান যেমন হিন্দুদের সঙ্গে ব্যবহার করে থাকে, বাংলাদেশও তেমনটাই করছে। বাংলাদেশে যারা হিন্দুদের সমর্থন করছে তাদেরকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমাদের সরকারের উচিত অবিলম্বে এই বিষয়টিতে নজর দেওয়া। এখনও সরকার যদি কিছু না বলে তাহলে হিন্দুদের উপর যে অন্যায় অত্যাচার হচ্ছে তা আরও বাড়বে।
#WATCH | Ayodhya, UP: On the detention of ISKCON Bangladesh priest Chinmoy Krishna Das by Dhaka police, Chief Priest of Shri Ram Janmabhoomi Temple, Acharya Satyendra Das says, "This is absolutely wrong. I believe Bangladesh is also treating Hindus the way Pakistan used to treat… pic.twitter.com/DtiQl2nBX5
— ANI (@ANI) November 26, 2024
ভারত মঙ্গলবার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়েছে। বিদেশমন্ত্রক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বলেছে যে বাংলাদেশে চরমপন্থী উপাদান দ্বারা হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর বেশ কয়েকটি হামলার পর ঘটনা ঘটেছে। দুর্ভাগ্যবশত, এসব ঘটনার দোষীরা এখনও পলাতক। চিন্ময় দাসকে কারাগারে পাঠানো নিয়ে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করলেও সে বিষয়ে হস্তক্ষেপের কোনো সম্ভাবনা নেই।
শীর্ষ পর্যায়ের সরকারী সূত্র জানিয়েছে যে ভারত বিশ্বাস করে এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং তাই এই বিষয়ে অবিলম্বে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। যাইহোক, বাংলাদেশ ভিত্তিক সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র এবং ইসকনের পুরোহিত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার ও জামিন নাকচ করায় বিদেশ মন্ত্রক গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
ফেরিঘাট 'বড়মা'র নামে, নৈহাটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিরাট ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
ISKCON-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা-সদস্য চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী। তিনি সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রও। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি 'চিন্ময় প্রভু' নামে পরিচিত। বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রের পাশাপাশি, পুণ্ডরীক্ষ ধামের অধ্যক্ষও তিনি।
তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বঙ্গ বিজেপি সভাপতি
বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনার নিন্দা করেছেন এবং চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারিকে অন্যায্য বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের কাছে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার এবং অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। সুকান্ত মজুমদার এক্স (আগের টুইটারে) লিখেছেন যে চিন্ময় প্রভু বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের অধিকারের জন্য ক্রমাগত লড়াই করছেন। তাকে গ্রেফতারের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কড়া সমালোচনা করেন তিনি।
চিন্ময় প্রভু বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার এবং তাদের অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সর্বদা আওয়াজ তুলেছেন। তার শক্তিশালী উপস্থিতি বাংলাদেশের সনাতন সম্প্রদায়কে ঐক্য ও সাহস জুগিয়েছে। চিন্ময় প্রভু ইসকনের মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশে ইসকনের ৭৭টিরও বেশি মন্দির রয়েছে এবং ৫০,০০০ এরও বেশি সদস্য এই সংগঠনের সাথে যুক্ত। তিনি ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে সনাতন ধর্ম প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।