Naihati-Mamata Banerjee: রাজ্যের ৬ কেন্দ্রের বিধানসভা উপনির্বাচনে বিপুল সাফল্যের পর নৈহাটির বড়মার মন্দিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বড়মার মন্দিরে পুজো দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে নৈহাটিবাসীর সুবিধার্থে একাধিক ঘোষণাও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার বড়মার মন্দিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই ছিলেন। ব্যারাকপুরের সংসদ পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম, সদ্য বিজয়ী নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে-সহ এলাকার জনপ্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার বড়মার মন্দিরে ঢুকে বেশ খানিকক্ষণ মন্দির কমিটির লোকজনের সাথে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনে তাঁর দলকে সমর্থনের জন্য নৈহাটির মানুষকে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। এরপরেই নৈহাটি ফেরিঘাটের নাম 'বড়মা' রাখার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুধু তাই নয়, নৈহাটি এবং ভাটপাড়ার হাসপাতালে ওপিডি চালু করার কথাও এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই পাশাপাশি তাঁর কথায় এদিন উঠে এসেছে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরপর ভাটপাড়া, জগদ্দল ব্যারাকপুরের গন্ডগোলের প্রসঙ্গ। ব্যারাকপুর, নৈহাটি, জগদ্দল, ভাটপাড়া এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশি তৎপরতার প্রসঙ্গও টেনেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন কী বললেন?
"৫ বছর আগে বিরাট একটা সন্ত্রাস হয়েছিল। নৈহাটির মানুষের উপর খুব অত্যাচার হয়েছিল। অনেকে ঘরছাড়া ছিলেন। আমি নৈহাটিতে এসে একটা মিটিং করেছিলাম। রাতারাতি সব দখল হয়ে গেছিল, সব রং করা হয়ে গিয়েছিল। ঘর থেকে একটা লোকও বেরোচ্ছিল না। আমি দেখলাম একটা জায়গায় একটু মোবিলের মতো কিছু একটা পড়ে আছে। আমি একজনকে বললাম একটু রং কিনে আন। আমি বেশ কয়েকটা পার্টি অফিস রং করে দিয়েছিলাম। আমি ঘণ্টা দুয়েক বসেছিলাম। যাতে নৈহাটির মানুষ সাহস পায়। আমার উদ্দেশ্য পার্টি অফিসটা রং করা ছিল না। আমার উদ্দেশ্য ছিল, আপনাদের সামনে এসে বসলাম, আপনারা যাতে সাহস পান।"