মুম্বইয়ে বাঙালি চিত্রশিল্পীকে খুনের অভিযোগ উঠল। নিহত কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী হুগলির বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। গুরগাঁওয়ে কর্মরত ছিলেন ওই বাঙালি চিত্রশিল্পী। কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীকে খুনের অভিযোগে রবিবার মহম্মদ ফুরকানকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় আরও দু’জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। পরিকল্পিত করে চিত্রশিল্পীকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ১২ লক্ষ টাকার বিল না মিটিয়েই পাঁচতারা থেকে নিখোঁজ ব্যাবসায়ী
এ প্রসঙ্গে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, বুধবার ভাটি গ্রামে কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে শেষ দেখা করেছিলেন ফুরকান। আরেক পুলিশ আধিকারিক দাবি করেছেন, জেরায় ফুরকান স্বীকার করেছে যে, সে কৃষ্ণেন্দুকে হত্যা করেছে। ধার নেওয়া ৮৫ হাজার টাকা শোধ করতে না পারাতেই খুন বলে মনে করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে আরেক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘এটা পূর্ব পরিকল্পিত চক্রান্ত বলেই মনে করছি আমরা। ২ দিন আগে একটি ছুরি কিনেছিল ফুরকান। আরও দু’জনকে তার অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। যারাও এ খুনে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। ওই দু’জন খুনের পর গ্রামে পালিয়ে গিয়েছে। ওদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ’’।
আরও পড়ুন: ঘরে মহিলার মুণ্ডহীন দেহ, পলাতক স্বামী
উল্লেখ্য, কৃষ্ণেন্দুকে খুনের ঘটনায় অভিযোগকারী করা হয়েছিল ফুরকানকেই। বৃহস্পতিবার গুরগাঁওতে কৃষ্ণেন্দুর নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে মালওয়ানি পুলিশ। পূর্ব ভিরার এলাকায় একটি নর্দমা থেকে কৃষ্ণেন্দুর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল কৃষ্ণেন্দুকে। এরপরই খুনের মামলা দায়ের করা হয়। ফুরকানকে জেরা করার সময় তার কল রেকর্ডস খতিয়ে দেখে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় ভিরার এলাকায় কৃষ্ণেন্দুর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। শেষকৃত্যে ছিলেন কৃষ্ণেন্দুর এক আত্মীয়।
Read the full story in English