বর্ষা ভেলকি দিয়ে সরে পড়েছে, সেই সুযোগে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গ্রীষ্ম। আর তাতেই গরমে তেতেপুড়ে অতিষ্ঠ রাজ্যবাসী। কিন্তু রোজকার রুটিন কী আর পিছু ছাড়ে! তাই চাদিফাঁটা রোদ নিয়ে রোজকার অফিস যাওয়া বা বাইরে বেরনো অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এর মধ্যেই যাঁরা বাইক ব্যবহার করেন, তাদের জন্য হ্যাপা চতুর্গুণ। গরম যতই অসহ্য হোক, হেলমেট খুললেই পুলিশের চোখ রাঙানি, সঙ্গে মোটা অঙ্কের জরিমানা। অগত্যা গরমেও মাথা বাঁচানোর দায়ে হেলমেট পরতেই হবে।
এই হতভাগ্য বাইক চালকদের জন্যই AptEner Technology কোম্পানি নিয়ে এসেছে কুলার হেলমেট। যা বাইরের তাপমাত্রা থেকে কম রাখবে হেলমেটের ভিতরের তাপমাত্রা। জলে চলবে এই কুলার, নাম 'ব্লুস্ন্যাপ'। কোম্পানির সিইও সুন্দররাজন কৃষ্ণন জানিয়েছেন যে বাড়িতে লাগানো কুলার ঘরকে ঠান্ডা করে, তাহলে মানুষের শরীর কেন ঠান্ডা হবে না? সেই ভাবনা থেকেই এই হেলমেটের আবিষ্কার। আপাতত বেঙ্গালুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে এর ব্যবহার ৷
হেলমেটের সঙ্গে লাগানো হয়েছে ছোট একটি কুলার, ভিতরের অংশকে ঠান্ডা করতে যা ক্যাপাসিটির কুলারের প্রয়োজন ৷ অবশ্যই ব্যাটারিচালিত এই কুলার ৷ আপনি যে হেলমেট ব্যবহার করেন সেই হেলমেটের কোয়ালিটিতেই তৈরি। বাইরের গনগনে রোদের তাপে আপনার মেজাজ থাকবে ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল। বাইরেরে তাপমাত্রার তুলনায় কম করে হলেও ৬ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমাতে পারবেন আপনি।
আরও পড়ুন: Summer Special: কুলিং জ্যাকেটের মতো কুলিং বোরখাও বানাবে রূপম
সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে হেলমেটটির ওজন হবে হালকা। আপনার থুতনির কাছে লাগানো থাকবে কুলারটি। মনে হতেই পারে বাইরে গরম, ভিতরে ঠান্ডা, সামনের কাঁচটা ঝাপসা হয়ে যাবে না তো? একদমই নয়। ডাস্ট-ফ্রি এবং ডি-ফগিং ফিচার টেকনোলজিতে তৈরি করা হয়েছে কুলার-হেলমেট ৷ ইকো ফ্রেন্ডলি এই হেলমেট জল দিয়ে পরিষ্কারও করতে পারবেন। সুতরাং বৃষ্টির জলেও কোনো সমস্যা হবে না। একবার চার্জ দিয়ে নিলে ১০ ঘন্টা মুক্তি গরমের হাত থেকে।
সুন্দররাজন কৃষ্ণন জানান, ভবিষ্যতে আরও স্মার্ট বানানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এই হেলমেটকে। থাকবে Bluetooth, নেভিগেশন ফিচার। দেশে যে ভাবে দিনের পর দিন গরম বেড়ে চলেছে, তাতে এই কুলার হেলমেট যে সাড়া ফেলবে তা বলাই যায়। বর্তমানে সহজে মানুষের কাছে ন্যায্য মুল্যে যাতে এটি পোঁছে দেওয়া যায়, সেদিকে নজর দিচ্ছে কোম্পানি।