Bharat Bandh today update: ভারত বনধে দেশজুড়ে ব্যাপক সাড়া মেলার পর কিছুটা চাপে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার সন্ধেয় তড়িঘড়ি কৃষক নেতাদের বৈঠকে ডাকলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রের ডাকা ষষ্ঠ দফার বৈঠকের একদিন আগেই কৃষক নেতাদের আলোচনায় ডেকে জল্পনা বাড়িয়েছেন অমিত শাহ। তবে কি সরকার নয়া কোনও প্রস্তাব রাখবে আন্দোলন থামাতে? তেমনই প্রশ্ন উঠছে। সন্ধে ৭টায় দিল্লিতে নিজের বাসভবনে বৈঠক ডেকেছেন শাহ, এমনটাই জানিয়েছেন, ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকায়েত। এদিকে, কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দলের নেতা আগামিকাল, বুধবার বিকেল পাঁচটার সময় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই প্রতিনিধি দলে থাকবেন রাহুল গান্ধী, শরদ পওয়ার, সীতারাম ইয়েচুরি-সহ পাঁচ জন প্রতিনিধি।
এদিন তিন ‘বিতর্কিত’ কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের ডাকে ভারত বনধে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। ভারত বনধে প্রভাব পড়ে বাংলাতেও। বিভিন্ন জায়গায় চলে রেল ও সড়ক অবরোধ। অবরোধের জেরে হাওড়া ও শিয়ালদা ডিভিশনে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকাতেও সকাল থেকে বনধের প্রভাব পড়েছে। এদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত ‘চাক্কা জ্য়াম’ করার কর্মসূচি নেওয়া হয়। Read in English
বনধ উপলক্ষে কোনও দোকান জোর করে বন্ধ করা যাবে না, সোমবার একথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কৃষকরা। কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল বলেন, ‘‘মঙ্গলবার দুপুর ৩টে পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভারত বনধ পালিত হবে। কিন্তু জরুরি পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হবে’’। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বনধ উপলক্ষে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জোর করে দোকান বন্ধ বা সাধারণের গতিবিধি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
কৃষকদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দল। তবে, কৃষকরা শর্ত দিয়েছেন নিজেদের ব্য়ানার ছেড়ে বনধে শামিল হতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকে। এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে ১৫টি দল। ভারত বনধকে সমর্থন জানিয়েছে কংগ্রেস, এনসিপি, ডিএমকে, আপ, আরজেডি, সপা, বসপা, উপত্য়কার গুপকর দল, বামেরা। কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও। তবে, যেহেতু মমতা সরকারের নীতি বনধ বিরোধী। তাই তারা কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাবে। মঙ্গলবার ব্লকে ব্লকে ধর্না কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Live Blog
Bharat Bandh Update: আজ কৃষকদের ডাকে ভারত বনধ। এ সংক্রান্ত সব খবরের আপডেট রইল এখানে, Follow the Update here:
তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের পাশে যে দলগুলো দাঁড়িয়েছে, তাদের অধিকাংশই অতীতে অনেক আইন প্রণয়নকে সমর্থন করেছে, এমন কথাই বলেছে বিজেপি।সোমবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির শীর্ষ নেতা রবিশংকর প্রসাদ অভিযোগ করেছেন যে, কৃষকদের একটা অংশ কয়েকটা লোকের কবলে পড়েছেন, যাঁদের নিজেদের স্বার্থ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের আনা বিতর্কিত কৃষি আইন ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভরত অসংখ্য় কৃষকরা। এই আইন প্রত্য়াহারের দাবিতে পাঞ্জাব, হরিয়ানার কৃষকরা দিল্লি অভিযানে সামিল হয়েছেন। যা ঘিরে দিল্লি সীমানা এলাকা উত্তপ্ত।
ভারত বনধ ঘিরে চণ্ডীগড়ে উত্তেজনা। জাতীয় সড়কে অবরোধ কংগ্রেস কর্মীদের। গ্রেফতার করা হল কংগ্রেস কর্মীদের।
গুরগাঁওয়ে ভারত বনধের সমর্থনে বিক্ষোভে যোগ দেওয়ায় প্রায় ১০০ জনকে হেফাজতে নিল পুলিশ।
‘ভারত বনধ শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এই আন্দোলনে কৃষকদের জয় হবে। আমরাও পথে নেমে প্রতিবাদ করেছি’, সাংবাদিক বৈঠকে বললেন সুব্রত মুখোপাধ্য়ায়।
কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি এলেন হরিয়ানার মুখ্য়মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।
কৃষি আইন ইস্য়ুতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতকে চলেছেন কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার জানান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৫-৬ জন করে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বুধবার বিকেল ৫টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আমাদের দেখা করার কথা। আমরা আমাদের অবস্থান জানাব তাঁকে।
চণ্ডীগড়ে দোকান বন্ধ করতে বললেন বনধ সমর্থকরা। দেখুন ভিডিও
বনধের সমর্থনে মৌলালিতে কংগ্রেসের বিক্ষোভ। ছবি: শশী ঘোষ।
ভারত বনধের প্রভাব কলকাতায়। রাজাবাজরে বিক্ষোভ বাম-কংগ্রেসের। ছবি: শশী ঘোষ।
দিল্লিতে আপ, কংগ্রেসের বিক্ষোভ।
কৃষকদের সমর্থনে একদিনের প্রতীকী অনশনে অন্না হাজারে।
ভারত বনধে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে রেল অবরোধের জেরে শিয়ালদা ও হাওড়া ডিভিশনে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হল। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, শিয়ালদা ডিভিশনে ২৬টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। হাওড়া ডিভিশনে ৪ জোড়া ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।
বনধের প্রভাব পড়ল গুজরাটে। সে রাজ্য়ে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ কংগ্রেস কর্মীদের।
বাংলায় ভারত বনধের প্রভাব পড়ল। সকাল থেকে বিভিন্ন প্রান্তের নানান ছবি দেখুন
গৃহবন্দি করা হল দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। এমন চাঞ্চল্য়কর অভিযোগই করেছে আম আদমি পার্টি। এদিন টুইট করে আপের তরফে দাবি করা হয়েছে, সোমবার সিংঘু সীমানায় কৃষকদের সঙ্গে দেখা করার পর থেকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে কেজরিওয়ালকে। কাউকেই তাঁর বাড়িতে ঢুকতে ও বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিস্তারিত পড়ুন
কৃষকদের পাশে থাকার আরও জোরালো বার্তা দিল কংগ্রেস। তিন ‘বিতর্কিত’ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকডের ডাকা ভারত বনধকে আগেই সমর্থন জানিয়েছে তারা। এবার কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে এবছর নিজের জন্মদিন উদযাপন করছেন না কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। বিস্তারিত পড়ুন
ভারত বনধে কাজ থেকে বিরতি নেই ওঁদের। বাইপাসের পাশে সকাল সকাল চাষের কাজে ব্য়স্ত কৃষকরা। ছবি: পার্থ পাল।
বারাসতে বনধে বসেছে বাজার, চলছে বিকিকিনি। ছবি: শশী ঘোষ।
সিংঘু সীমানায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
যাদবপুরে বামেদের রেল অবরোধ।
বারাসতে বনধে আটকে লোকাল ট্রেন। ছবি: শশী ঘোষ।
মধ্য়মগ্রামে ৩৪ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ বনধ সমর্থনকারীদের।
কলেজ স্ট্রিটে ট্রামে উঠে বিক্ষোভ বনধ সমর্থনকারীদের।
হাওড়ায় পূর্ব রেল শাখায় সকাল ৮টা ৪০ মিনিট নাগাদ রিষড়ায় ট্রেন অবরোধ হয়। ডায়মন্ড হারবার শাখায় বারুইপুর ও সংগ্রামপুরের মাঝে কলাপাতা ছোড়েন বনধ সমর্থকরা। যাদবপুরেও বিঘ্নিত হয় পরিষেবা। বনগাঁ শাখায় হাবরাতেও ব্য়াহত হয় ট্রেন পরিষেবা।
ভুবনেশ্বর স্টেশনে রেল অবরোধ বনধ সমর্থকদের।
অন্ধ্রপ্রদেশে ভারত বনধের সমর্থনে বামেদের বিক্ষোভ।
শিয়ালদা ডিভিশনে ডায়মন্ড হারবার শাখায় বিঘ্নিত ট্রেন চলাচল। হোটর ও বারুইপুরের মাঝে আপ লাইনে ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেললেন বনধ সমর্থকরা।
তিন ‘বিতর্কিত’ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের প্রতিবাদে যখন ফুঁসছে গোটা দেশ, এমন আবহে সংস্কারের পক্ষেই সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কৃষকদের ডাকা ভারত বনধের আগের দিন মোদী বললেন, উন্নয়নের জন্য় সংস্কার প্রয়োজন এবং বিগত শতকের কিছু আইন এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিস্তারিত পড়ুন, ‘পুরনো আইন দিয়ে নয়া শতাব্দী গড়া যায় না’, কৃষক বিক্ষোভের আবহে বার্তা মোদীর
কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও। তবে, যেহেতু মমতা সরকারের নীতি বনধ বিরোধী। তাই তারা কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাবে। মঙ্গলবার ব্লকে ব্লকে ধর্না কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। সহিস্তারে পড়ুন, ‘আইন প্রত্যাহার কর, নয়তো বিজেপি ভারত ছাড়’, কৃষকদের সমর্থনে হুঙ্কার মমতার
বনধ উপলক্ষে কোনও দোকান জোর করে বন্ধ করা যাবে না, সোমবার একথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কৃষকরা। কৃষক নেতা বলবীর সিং রাজেওয়াল বলেন, ‘‘মঙ্গলবার দুপুর ৩টে পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভারত বনধ পালিত হবে। কিন্তু জরুরি পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হবে’’।
তিন ‘বিতর্কিত’ কৃষি আইনের প্রতিবাদে আজ কৃষকদের ডাকে ভারত বনধ। কৃষকদের ডাকা বনধকে সমর্থন জানিয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দল। ফলে, গোটা দেশেই এই বনধের প্রভাব পড়তে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। একাধিকবার সরকারের সঙ্গে কৃষক পক্ষের বৈঠকে কোনও রফা মেলেনি। আইন বাতিল করতেই হবে, দাবিতে অনড় ‘অন্নদাতা’রা।