করোনার প্রকোপ কমার সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পেয়েছে করোনা টিকার চাহিদা। সেই চাহিদা হ্রাসের কথা মাথায় রেখে ভারত বায়োটেক ঘোষণা করেছে যে Covaxin উৎপাদন কমানো হবে। Covaxin হল ভারতে দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবহৃত কোভিড ভ্যাকসিন এবং বর্তমানে এই টিকা কেবল একমাত্র সরকারী কর্মসূচির অধীনে ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের টিকাদানের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
CoWIN পোর্টালের তথ্য অনুসারে, ভারতে এখনও পর্যন্ত ৩০.৭৮ কোটি ডোজ Covaxin দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসে সরকারকে ৫ কোটি থেকে ৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করত। সংস্থার তরফে এক বিবৃতিতে জানান হয়েছে উৎপাদন কমানো হলেও টিকার গুনগত মানের কোন পরিবর্তন হবে না। সেই সঙ্গে যারা এখন রি টিকা নিচ্ছেন তারা টিকার বৈধ শংসাপত্র পাবেন।
কোভিডের বাড়বাড়ন্তের সঙ্গে সঙ্গে টিকার চাহিদার কথা মাথায় রেখে উৎপাদনের ক্ষেত্রে গতি এনেছিল সংস্থা। এখন করোনার প্রকোপ কম হওয়ার পাশাপাশি অধিকাংশ মানুষ টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন তাই চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় সংস্থা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে টিকার ক্ষেত্রে আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবে সংস্থা। সেই সঙ্গে । টিকার মানোন্নয়নের বিষয়ে আরও কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে সংস্থা।
আরো পড়ুন:লাগামহীন জ্বালানি, দেশে পেট্রোলের দামে সর্বকালীন রেকর্ড, সেঞ্চুরির চৌকাঠে ডিজেল
এর আগে সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, তাদের তৈরি টিকা কোভ্যাক্সিন এখন শিশু থেকে বৃদ্ধ, সকলের জন্য উপযুক্ত। কোভিড-১৯ অতিমারির বিরুদ্ধে বিশ্বজনীন একটি প্রতিষেধক তৈরির লক্ষ্যে তারা পৌঁছে গিয়েছে। টিকার মানোন্নয়নের যাবতীয় কাজ তারা সেরে ফেলেছে।
কোভিডে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার দেশজুড়ে। দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে শুক্রবার পয়লা এপ্রিল থেকে করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় বিধি নিষেধ উঠে গেল সারা দেশে। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, তেলঙ্গানা, পশ্চিমবঙ্গ সহ একাধিক রাজ্য ইতিমধ্যেই করোনা বিধি প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছে।
সেই সঙ্গে দিল্লি, মহারাষ্ট্রে মাস্ক পরা ঐচ্ছিক করা হয়েছে। দিল্লির দুর্যোগ পরিচালনা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে মাস্ক না পরলে এবার থেকে আর কোনও জরিমানা নেওয়া হবে না। দিল্লিতে আগে মাস্ক না পরার জন্য ৫০০ টাকা করে জরিমানা নেওয়া হত। তেলঙ্গানাতেও মাস্ক পরা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
Read in English