ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় আরও খানিকটা স্বস্তি পেলেন মানবাধিকারকর্মী গৌতম নওলাখা, সমাজকর্মী আনন্দ তেলটুম্বড়ে ও স্টান স্বামী। গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচের সময়সীমা বৃহস্পতিবার আরও বাড়িয়ে দিল বম্বে হাইকোর্ট। এই সময়সীমার মেয়াদ বাড়িয়ে ১৪ ডিসেম্বর করা হয়েছে। ভীমা কোরেগাঁও মামলায় অভিযুক্ত ওই তিন ব্যক্তিকে আগেও গ্রেফতারি থেকে রেহাই দেওয়া হয়। এর আগে তাঁদের ২১ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রেফতারি থেকে রেহাই দিয়েছিল আদালত। এই সময়সীমা গতকালই শেষ হয়েছে।
এদিকে, চার্জশিট থেকে তাঁর নাম তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন মানবাধিকার কর্মী গৌতম নওলাখা। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ওই আর্জির প্রেক্ষিতে সরকারি আইনজীবী আদালতকে বলেন, চার্জশিট থেকে নওলাখার নাম প্রত্যাহার না করার জন্য তাঁদের হাতে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। অন্যদিকে, আগামী ৪ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত সব তথ্য পেশ করার জন্য সরকারি আইনজীবীকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন, ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় সাময়িক স্বস্তিতে নওলাখা-তেলটুম্বড়ে-স্বামী
উল্লেখ্য, গত ২৯ অগাস্ট ভারভারা রাও, অরুণ ফেরেইরা, ভার্নন গনসালভস, সুধা ভরদ্বাজ ও গৌতম নওলাখাকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গৃহবন্দি করা হয়। এলগার পরিষদকাণ্ডের তদন্তে তাঁদের বাড়িতে তল্লাশিও চালায় পুনে পুলিশ। ওই ৫ জন সমাজকর্মী ছাড়াও গোয়ায় আনন্দ তেলটুম্বড়ে ও রাঁচিতে স্টান স্বামীর বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি। এদিকে, পুলিশ হেফাজতে তাঁকে নেওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন লেখক ও কবি ভারভারা রাও। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার জন্য সোমবার তাঁকে পুনের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সিপিআই(মাওবাদী) দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ওই সমাজকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুনের এক এলাকায় মাওবাদীদের কিছু কর্মসূচি ছিল, সেখানে ওই পাঁচ সমাজকর্মীর যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি পুলিশের। এলগার পরিষদের ওই মঞ্চের বেশ কিছু বক্তৃতা চলতি বছরের ১ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের ভীমা-কোরেগাঁও এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টিতে ইন্ধন যুগিয়েছিল বলেও অভিযোগ। উল্লেখ্য, ওই দিন ভীমা-কোরেগাঁও যুদ্ধে দলিত সম্প্রদায়ের গৌরবময় বিজয়ের দ্বিশতবর্ষ উদযাপনের উদ্দেশ্যে সমবেত হয়েছিলেন লক্ষাধিক দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ১ নভেম্বর পর্যন্ত সমাজকর্মীদের গ্রেফতারি থেকে রেহাই দিয়েছিল আদালত। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত রেহাই দেওয়া হয়েছিল স্টান স্বামীকে। গত অক্টোবরে এই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে চায় না বলে জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সে সময় সুপ্রিম কোর্টের তরফে পুনে পুলিশকে এ ঘটনার তদন্ত চালাতে বলা হয়েছিল। ১ অক্টোবর গৃহবন্দি দশা থেকে নওলাখাকে মুক্তি দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। পুনে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।
Read the full story in English