বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর তৎপরতায় আটক করা হয়েছে দুটি পাক ট্রলার। গুজরাটের কচ্ছে সীমান্ত এলাকায় টহলদারির সময় দুটি মাছ ধরার ট্রলার দেখতে পান বিএসএফ জওয়ানরা। ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের আগেই সেগুলিকে আটক করা হয়। যদিও ট্রলারে থাকা বেশ কয়েকজন নৌকাগুলিকে পিছনে ফেলে সীমান্তের দিকে পালিয়ে যায় বলে বিএসএফ সূত্রে খবর। এই ঘটনার পর এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে "বিএসএফের একটি দল ভুজে টহল দেওয়ার সময় দুটি পাক ট্রলার দেখতে পান। জওয়ানরা ধাওয়া করতেই ট্রলারে থাকা বেশ কয়েকজন সেগুলিকে ফেলে সীমান্তের দিকে পালিয়ে যান। ট্রলার দুটিকে আটক করা হয়েছে"।
গতকালই ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) একটি সতর্কতা জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বড়সড় নাশকতা চালাতে পারে পাক মদত পুষ্ট একাধিক জঙ্গি সংগঠন।আইবি-র একটি ১০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে এলইটি, জেইএম এবং অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনগুলি স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বড়সড় হামলার ছক কষছে। একই সঙ্গে দিল্লি পুলিশকে লাল কেল্লায় আটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দিল্লির পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যগুলিকেও এই মর্মে সতর্ক করা হয়েছে। রিপোর্টে জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের উপর হামলা এবং উদয়পুর ও অমরাবতীর ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের আগে দিল্লি পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ১৫ ই অগাস্ট অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের ক্ষেত্রেও বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উদয়পুর এবং অমরাবতীর ঘটনার উল্লেখ করে, গোয়েন্দা সংস্থার তরফে পুলিশকে কট্টরপন্থী গোষ্ঠী এবং জনবহুল স্থানে তাদের কার্যকলাপের উপর কঠোর নজরদারিরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: < বিস্ফোরণে উড়ল কারখানার চাল, পোলবায় মৃত এক, আহত ৫ >
রিপোর্টে বলা হয়েছে পাক আইএসআইয়ের তরফে জইশ ও লস্কর জঙ্গিদের নাশকতার উস্কানি দেওয়া হচ্ছে। জেইএম এবং এলইটিকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিকে টার্গেট করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। আইবি, তার রিপোর্টে, দিল্লি পুলিশ এবং অন্যান্য রাজ্যগুলিকে স্বাধীনতা দিবসের আগে মৌলবাদী সংগঠনের উপর নজরদারি বাড়ানোর কথা উল্লেখ করেছে। একই সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় বাড়তি নজরদারির ওপরেও জোড় দেওয়া হয়েছে। তার ঠিক একদিন পরেই পাক ট্রলার আটকের ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।