Advertisment

কর্নাটকের স্কুলে পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ! পুলিশকে ‘কাঠগড়া’য় তুলল শিশু অধিকার কমিশন

দেশদ্রোহের অভিযোগে গত ৩০ জানুয়ারি এ ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও এক পড়ুয়ার মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
karnataka bidar school, কর্নাটক, কর্ণাটক, বিদার, বিদার স্কুল, কর্নাটকের বিদার স্কুল, bidar school sedition case, বিদার স্কুলে দেশদ্রোহের অভিযোগ, karnataka court, কর্ণাটক পুলিশ, কর্নাটক পুলিশ, karnataka police, karnataka school sedition case, indian express bangla

বিদার শাহিন প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

স্কুলের নাটকে ‘সিএএ বিরোধী বার্তা’ দেওয়ায় হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে কর্নাটকে। দেশদ্রোহের অভিযোগের তদন্তে নেমে স্কুলের পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সে রাজ্যের পুলিশ। স্কুলে পড়তে গিয়ে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে স্বভাবতই ভয়ে সিঁটিয়ে কর্নাটকের বিদারের শাহিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এ ঘটনায় অবিলম্বে পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া বন্ধ করতে পুলিশকে বার্তা দিল কর্নাটকের শিশু সুরক্ষা ও অধিকার কমিশন(কেএসপিসিআর)।

Advertisment

বিদারের পুলিশ সুপার, ডেপুটি কমিশনার, কর্নাটকের ডিজিপিকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে শিশু সুরক্ষা কমিশন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জেরে স্কুলে ‘ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে’। তাই অবিলম্বে পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া বন্ধ করা হোক। একথাই চিঠিতে লিখেছে শিশু অধিকার কমিশন। স্কুলে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে পুলিশ আইন লঙ্ঘন করেছে বলেও দাবি করেছে শিশু অধিকার কমিশন। অভিভাবকদের সামনে পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত ছিল বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের ভয়ে বহু পড়ুয়া স্কুল যাওয়া বন্ধ করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দেশদ্রোহের অভিযোগে গত ৩০ জানুয়ারি এ ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও এক পড়ুয়ার মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: বিরল! মোদীর বক্তব্যের শব্দ বাদ পড়ল রাজ্যসভায়

src="https://www.youtube.com/embed/sjAVDZuaYm0" width="100%" height="415" frameborder="0" allowfullscreen="allowfullscreen">

ঘটনার সূত্রপাত গত ২১ জানুয়ারি। সেদিন স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়। ওই নাটকে দেশবিরোধী বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে এবং সিএএ বিরোধী বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে গত ২৬ জানুয়ারি পুলিশের দ্বারস্থ হন এক এবিভিপি কর্মী। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিদারের ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয় স্কুলের ৯ বছর বয়সী এক পড়ুয়ার মাকেও। অন্যদিকে, স্কুলের ওই নাটকের ভিডিও স্ট্রিম করার অভিযোগ উঠেছে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। ওই সাংবাদিকের ভিডিও দেখেই পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এবিভিপি কর্মী।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
national news
Advertisment