'ভাবনার চেয়েও বিশাল হবে রাম মন্দির', তিন চূড়া-বালিপাথরে 'ইতিহাস' তৈরি অযোধ্যায়

এই জমি যে কেবল ইতিহাস নয়, রামের জন্মভূমি নয় ভারতের রাজনৈতিক ক্ষেত্রেরও একটা বড় অংশ, সেই বিষয়টিও মাথায় ছিল চন্দ্রকান্ত সোমপুরার।

এই জমি যে কেবল ইতিহাস নয়, রামের জন্মভূমি নয় ভারতের রাজনৈতিক ক্ষেত্রেরও একটা বড় অংশ, সেই বিষয়টিও মাথায় ছিল চন্দ্রকান্ত সোমপুরার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মন্দিরের থ্রিডি ডিজাইন

কম বিতর্ক পোহাতে হয়নি অযোধ্যাকে। রামমন্দির-বাবরি মসজিদ নিয়ে ধর্মের বাগবিতন্ডায় চাপা পড়ে যায় ইতিহাসের বেশ কিছু অধ্যায়। তবে রামজন্মভূমি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতির পর থেকেই জোরকদমে শুরু হয় রামমন্দির তৈরির কাজ। ইতিমধ্যেই রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই সূচনা হবে রাম মন্দির তৈরির কাজ। আগামী ৫ অগাস্ট ভূমি পুজো অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

Advertisment

এত গেল বর্তমান প্রসঙ্গ। কিন্তু প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ভারতের বিভিন্ন মন্দির তৈরি করে আসা অন্যতম 'স্থপতি' সোমপুরা পরিবারের কাছে এ যেন ইতিহাসকে ফের ছুঁয়ে দেখা। আজকের রামমন্দির তৈরির দায়িত্ব পেয়ে ১৯৯০ সালের স্মৃতিতে ডুব দিলেন চন্দ্রকান্ত সোমপুরা। তিনি বলেন, "সেই সময় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রধান অশোক সিঙ্ঘলের সঙ্গে অযোধ্যার এই জমিতে পা রাখি। কোনওরকম যন্ত্রপাতি না নিয়েই আমাকে মন্দিরের ভিতরে ঢুকতে হয়েছিল। কীভাবে মন্দির তৈরি, তা নিখুঁত গণনা করতে হয়েছিল হেঁটে হেঁটে।"

আরও পড়ুন, ‘বন্ধুত্বের জবাবে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল পাকিস্তান’

Advertisment

এই জমি যে কেবল ইতিহাস নয়, রামের জন্মভূমি নয় ভারতের রাজনৈতিক ক্ষেত্রেরও একটা বড় অংশ, সেই বিষয়টিও মাথায় ছিল চন্দ্রকান্ত সোমপুরার। বর্তমানে তাঁর সংস্থা সি বি সোমপুরা এই মন্দির নির্মাণকার্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর এই কাজ বন্ধ থেকেছে বহু বছর। শেষমেশ মন্দিরের কাজ আবার নতুন করে শুরু করতে পারে খুশি সোমপুরা পরিবার।

এবারের ডিজাইনে রাম মন্দির আরও অনেক বড়। ইতিমধ্যেই রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের সঙ্গে কথাবার্তা শেষ করে মন্দিরের থ্রিডি ডিজাইনের কাজ প্রায় শেষ। জানা গিয়েছে মন্দিরের উচ্চতা হতে চলেছে ৩৬৬ ফিট। আগের পরিকল্পনা থেকে যা প্রায় ১৬০ ফিট বেশি উঁচু। সিড়ির প্রস্ত হবে প্রায় ১৬ ফিট। মন্দিরে থাকবে সীতা, লক্ষ্মণ, গণেশ এবং হনুমানের মূর্তিও। স্থপতিবিদেরা জানিয়েছেন ১৯৯০ সালে যখন মন্দির তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল সেই সময় ৩ লক্ষ কিউব ফিট বালিপাথর ব্যবহার করার কথা ছিল। কিন্তু এবারে যেহেতু ইতিহাস গড়ার কাজ আরও 'সুউচ্চ' তাই বালিপাথরের পরিমাণও হবে দ্বিগুণ।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Ram Temple Ayodhya