Advertisment

বিহারে শিশুমৃত্যু: এইমস-এর রিপোর্টে কাঠগড়ায় সরকার, প্রশাসন

রাজ্যে অ্যাকিউট এনকেফেলাইটিস সিন্ড্রোমে মৃত্যু হয়েছে দেড়শোর বেশি দেড় থেকে বারো বছর বয়সী শিশুর। অধিকাংশের মৃত্যুই ঘটেছে মজফফরপুরে, এবং এদের সকলেরই জন্ম আর্থ-সামাজিক ভাবে অনুন্নত পরিবারে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
bihar child death

প্রতি বছরই ঘটে শিশুমৃত্যু

বিহারের মুজফফরপুরে সাম্প্রতিক শিশুমৃত্যু সংক্রান্ত প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করল দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস)-এর একটি তথ্য অনুসন্ধানকারী দল। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, প্রশাসনিক ব্যর্থতা এবং সরকারি উদাসীনতার ফলেই রাজ্যে অ্যাকিউট এনকেফেলাইটিস সিন্ড্রোমে মৃত্যু হয়েছে দেড়শোর বেশি দেড় থেকে বারো বছর বয়সী শিশুর। অধিকাংশের মৃত্যুই ঘটেছে মজফফরপুরে, এবং এদের সকলেরই জন্ম আর্থ-সামাজিক ভাবে অনুন্নত পরিবারে।

Advertisment

এইমস-এর রিপোর্টে আরও উল্লেখ রয়েছে যে গ্রীষ্মের মে-জুন মাসে এনকেফেলাইটিসের প্রকোপ ওঠে তুঙ্গে, এবং মজফফরপুরের ছাউনি দেউয়া কুঁড়েঘরের বসতিতে এর আনাগোনা বেশি। "আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে রোগের চিহ্ন দেখা দিতে শুরু করে রাতেই, এবং ভোরবেলা তাদের পরিবারের সদস্যরা নিজেরাই তাদের নিয়ে যান হেলথ সেন্টারে, স্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছ থেকে প্রায় কোনোরকম সাহায্য ছাড়াই," বলা হয়েছে রিপোর্টে।

আরও পড়ুন: এনকেফালাইটিসের পর এবার মড়ার খুলি, হাড় বিহারের হাসপাতালে

এর আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে এনকেফেলাইটিসে মৃত এই শিশুদের জীবনে না রাজ্য, না কেন্দ্রীয়, কোনোরকম স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রবেশ ঘটে নি তেমন। সে স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছনতাই হোক বা সমাজকল্যাণ প্রকল্প।

"দশ বছর ধরে হয়ে চলেছে মৃত্যু, অথচ কোনোরকম প্রতিষেধক ব্যবস্থা বা স্বাস্থ্য সচেতনতার বিকাশ ঘটে নি। সাফাই ব্যবস্থা অত্যন্ত খারাপ, এমনকি হেলথ সেন্টারেও। মজফফরপুরে কোনও কার্যকরী নিকাশি ব্যবস্থা নেই, এবং পানীয় জলের সঙ্কট অত্যন্ত তীব্র," বলছে রিপোর্ট।

bihar
Advertisment