তাঁর রাজ্যে যে এনআরসি লাগু হবে না একথা আগেই জানিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। সেই কথা মতই মঙ্গলবার সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় নিবন্ধক নাগরিক (এনআরসি) বাস্তবায়ন না করার একটি প্রস্তাব পাস হল বিহার বিধানসভায়। পাশাপাশি ২০১০ সালের পদ্ধতি মেনেই জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (এনপিআর) কার্যকর করার একটি প্রস্তাবও পাস হয়েছে বিধানসভায়। নীতিশ কুমার বলেন, তাঁর সরকার কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে এনপিআর ফর্ম থেকে বিতর্কিত ধারা বাদ দেওয়ার জন্য।
আরও পড়ুন: নীতীশের মন্তব্যেই প্রশ্নের মুখে বিহারের এনপিআর
এনপিআর-এ উল্লেখিত, আবেদনকারীকের অভিভাবকদের জন্মস্থান ও দিনক্ষণ, শেষ বাড়ির ঠিকানা জানাতে হবে। যা ঘিরেই সরব বিরোধী শিবির। এনপিআর-এ এই প্রশ্নগুলি নয়া সংযোজন। কিন্তু, বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় প্রশ্ন উঠল এনপিআর-র বর্তমান প্রশ্ন বিন্যাস নিয়েই। স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবশ্য জানিয়েছিলেন, অভিভাবকদের জন্মস্থান ও দিনক্ষণ, শেষ বাড়ির ঠিকানা জানানোর বিষয়টি ঐচ্ছিক।
আরও পড়ুন: ‘এনপিআরে কোনও নথি লাগবে না’, বড় ঘোষণা মোদী সরকারের
দারভাঙ্গায় রাজ্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে নীতীশ বলেন, ‘বিহারের মুখ্যযমন্ত্রী পদে আমি যতদিন রয়েছি ততদিন কোনও সম্প্রদায়ের সঙ্গে কোনও অন্যায় হতে দেব না। রাজ্যে এনআরসি হবে না। আর এনপিআর করতে হবে ২০১০ সালের পদ্ধতি মেনেই। বিভেদমূলক কোনও নীতী মানা হবে না। এটাই রাজ্য সরকারের অবস্থান।’ সব ধর্মের মানুষকে একসহ্গে মিলেমিশে থাকার আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি মিত্র-জেডি (ইউ) প্রধান বলেন যে, কীভাবে রাজ্যে এনপিআর পরিচালিত হবে সে সম্পর্কে "কোনও বিভ্রান্তি" থাকা উচিত নয়। চলতি মাসেই ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে বিহারের জমি ও রাজস্ব দফতরের তরফে চিঠি দেওয়া হয়। ২০২০ সালের এনপিআর-র জন্য প্রশ্নাবলির তালিকা পাঠানো হয়নি বলে চিঠিতে জানানো হয়। এনপিআর ফর্মে রূপান্তরকামীদের জন্য একটি জায়গা রাখার জন্যও কেন্দ্রের কাছে আবেদন করা হয়। ২০১৯ সালের ১৭ই ডিসেম্বর বিহার সরকার এনপিআর বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
Read the full story in English
ন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন