কোভিড টেস্ট কেলেঙ্কারি ঘিরে উত্তাল বিহার। শুক্রবারই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীষ কুমার। শনিবার ৩৮ জেলায় কোভিড তথ্য যাচাইয়ের জন্য ১০টি দল গঠন করেছে বিহার স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই ২৬ জেলায় তদন্ত শুরু হয়েছে। আরারিয়া, ফরবেশগঞ্জ ও পূর্ণিয়ার প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অধিকর্তাদের শোকজ করা হয়েছে। বিহারে কোভিড টেস্টের দুর্নীতি নিয়ে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে তদন্তমূলক প্রতিবেদনে চাঞ্চল্যকর তথ্য ধরা পড়েছে। উঠে এসেছে বড় জালিয়াতি।
আরও পড়ুন- বিহারে কোভিড টেস্ট জালিয়াতি: দোষীদের শাস্তির আশ্বাস নীতীশের, রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জামুই, শেখপুরা এবং পাটনাতে ছ’টি পিএইচসি পরিদর্শন করে। ১৬, ১৮ এবং ২৫ জানুয়ারীর মধ্যে যে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে তা খতিয়েও দেখে। জামুইতে তিনটি পিএইচসি-তে ৫৮৮টি করোনা পরীক্ষার সন্ধান পাওয়া যায়। যেখানে সব রিপোর্ট নেগেটিভ। এর পরই সেখানকার বিভিন্ন কর্মীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথাও বলা হয়। হাতে আসে ভুয়ো নথি। যেখানে নাম থেকে ফোন নম্বর সবটাই মিথ্যে। করোনার দৈনিক পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্যই এই কাজ করা হয়েছিল, এমনটাই মানছে অনেকে।
আরও পড়ুন- কোভিড পরীক্ষায় ভর্তি ভুয়ো ডেটা, ফোন নাম্বারে ১০টি শূন্য
কোভিড পরীক্ষায় গোলমালের কথা স্বীকার করেছেন স্বাস্থ্য দফতরের প্রিনসিপাল সেক্রেটারি প্রত্যয় অমৃত। তাঁর কথায়, 'বারহাত ও সিকান্দরে ফোন নম্বরগুলো সঠিক ছিল না। অনিয়মিতা স্পষ্ট। দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ হবে।' এছাড়াও প্রত্যয় অমৃত বলেছেন, '২৬ জেলায় তদন্তে দেখা যাচ্ছে আরারিয়া ও ফরবেশগঞ্জে ফোন নম্বরের জায়গায় দশটি শূন্য বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে, দেখানো হয়েছিল পরীক্ষাগুলো নিয়ম মেনেই হয়েছে। যাইহোক দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল অফিসারদের শোকজ করা হয়েছে।' দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন