Advertisment

ফুলওয়ারি শরীফ সন্ত্রাস মামলায় একযোগে ২০ জায়গায় তল্লাশি অভিযান NIA-এর

চলতি বছরের জুলাইতে এই মামলায় বিহার পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Calcutta HC hands over 2019 double blast case to NIA

ফাইল ছবি

বৃহস্পতিবার বিহারের একাধিক স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে NIA। ফুলওয়ারি শরীফ সন্ত্রাসী মডিউল মামলায় এদিন দারভাঙ্গা, আরারিয়া, ছাপরা এবং পাটনা সহ ২০টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্র অনুযায়ী, প্রায় দু ডজনের বেশি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। প্রসঙ্গে সংস্থার কর্মকর্তা সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, “মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণের ছদ্মবেশে অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবির চালানো হচ্ছিল’ বলে অভিযোগ রয়েছে।

Advertisment

জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ বিহারের একাধিক জেলায় অভিযান চালিয়েছে। দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের মামলায় এইসব এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে বলে এনআইএ সূত্রে খবর। এনআইএ-র এই অভিযান চালানো হয়েছে মধুবনী, চাপড়া, আরারিয়া সহ আরও অনেক জায়গায়। এনআইএ ফুলওয়ারি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত পারভেজের বাড়িতেও অভিযান চালায়। পারভেজের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে বলে এনআইএ সূত্রে খবর।

রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে আরারিয়ার জোকিহাটেও এনআইএ অভিযান চালানো হয়েছে। আরারিয়ায় এহসান পারভেজের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। ফুলওয়ারি শরীফ মামলায় এহসানের নাম উঠে এসেছিল। এহসান এসডিপিআই-এর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। এনআইএ-র টিমের সঙ্গে জোকিহাট থানার পুলিশও যৌথভাবে অভিযান চালায়। পারভেজের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পারভেজকে হেফাজতে নেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে এহসান পিএফআই-এর জেলা আহ্বায়ক। ফুলওয়ারি শরীফ মামলায় এনআইএ ফুলওয়ারি শরীফের দুটি জায়গায় হানা দিয়েছে NIA-র সদস্যরা জেলা পুলিশের সাহায্যে এই অভিযান চালায়। ফুলওয়ারী শরীফের মিলকিয়ানা মহল্লা ও গনপুরা গ্রামে এসব অভিযান চলছে।

আরও পড়ুন: < কলকাতায় এসেছিলেন রানি এলিজাবেথ, স্বাগত জানাতে শহরের রাজপথে বসেছিল তোরণ >

চলতি বছরের জুলাইতে এই মামলায় বিহার পুলিশ গ্রেফতার করেছে তিনজনকে। যার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তদন্তভার দিয়েছিল এনআইএ-কে। ঝাড়খণ্ডের একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার মোহাম্মদ জালালুদ্দিন এবং আতহার পারভেজকে ১৩ জুলাই পাটনার ফুলওয়ারি শরীফ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আর তার তিনদিন পর বিহার পুলিশের অনুরোধে উত্তরপ্রদেশ ATS নুরুদ্দিন জাঙ্গিকে লখনউ থেকে পাকড়াও করে। যার পর জানা যায়, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের PFI-এর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।

এ ছাড়াও এনআইএ-র দলও এদিন পৌঁছায় মধুবনীতে। নিষিদ্ধ ইসলামিক সংগঠন পিএফআই সদস্য আনসারুল্লাহ ওরফে আনসারের বাড়িতে মধুবনীতে অভিযান চালানো হয়েছে। লাদনিয়া থানার দালোখার পঞ্চায়েতের বালুয়া টোলে অবস্থিত আনসারুল্লাহর বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়।

চাপড়াতেও পিএফআই সদস্য পারভেজ আলমের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে এনআইএ। সিংওয়াদা থানা এলাকার শঙ্করপুর গ্রামে মহম্মদ মুস্তাকিমের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। মুস্তাকিমের ফুলওয়ারি শরীফে এই সকল অপরাধীর বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কার্যকলাপের জন্য একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল। গত মাসেও এনআইএ দল একই গ্রামের মো সানাউল্লাহর বাড়িতে হানা দিয়েছিল।

পুলিশ সূত্রে, জালালুদ্দিন ভারতের ছাত্র ইসলামিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তারা স্থানীয় যুবকদের সাম্প্রদায়িক হিংসায় প্ররোচিত করছিলেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, বিহার পুলিশ জানিয়েছিল যে, তাঁরা ধৃতদের কাছ বেশ কিছু নথি উদ্ধার করে। এদিন বিহারের প্রায় ৩০ টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে এনআইএ। নালন্দা, কাটিহার, আরারিয়া, মধুবনি, পাটনা, বৈশালী, দরভাঙ্গা, মুজাফফরপুর এবং সারান জেলা জুড়ে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। এনআইএ এক বিবৃতিতে জানায় পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (পিএফআই) এর দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত এক মামলায় এদিন একাধিক জায়গায় অনুসন্ধান চালানো হয়। ডিজিটাল ডিভাইস এবং নথি সহ অপরাধমূলক একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়।

NIA bihar
Advertisment