এ বাইক আর চার-পাঁচটা বাইকের মতো একেবারেই নয়। এ বাইকের সামনে নীল বাতি, ছোট মাইক। বাইকের পিছনে পিলিয়ন সিট। শুধু কী তাই, বাইকের সঙ্গে থাকছে স্য়ালাইন স্ট্য়ান্ড, ওষুধ-ইঞ্জেকশন রাখার জায়গা। হ্য়াঁ, দেখে মনে হবে যেন ছোট অ্য়াম্বুল্য়ান্স। এবার এমন মোটরসাইকেলেই চড়ে মাওবাদী অধ্য়ুষিত এলাকা চষে বেড়াবেন সিআরপিএফ জওয়ানরা।
মাওবাদী অধ্য়ুষিত এলাকায় অতর্কিতে হামলার পর জখমদের উদ্ধার করতেই এহেন অ্য়াম্বুল্য়ান্সে ভরসা রাখছে সিআরপিএফ। হামলার পর জখমদের প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি এহেন মোটরসাইকেলে করে দ্রুত উদ্ধার করতেই এহেন ভাবনা। সিআরপিএফ সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, মাওবাদী অধ্য়ুষিত এলাকাতেই ডজনখানেক মোটরসাইকেল অ্যাম্বুল্য়ান্সের ব্য়বস্থা করা হবে। এহেন মোটরসাইকেল অ্য়াম্বুল্য়ান্স তৈরি করেছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্য়ান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার অ্য়ান্ড অ্য়ালাইড সায়েন্সেস।
এ প্রসঙ্গে সিআরপিএফ ডিজি আরআর ভাটনগর দ্য় সানডে এক্সপ্রেসকে বলেন যে, দক্ষিণ বস্তারের মতো এলাকায় উদ্ধারকাজ খুব চ্য়ালেঞ্জিং। এধরনের বাইক অ্য়াম্বুল্য়ান্স পেলে তা খুবই কাজে লাগবে। তিনি আরও জানান যে, টহলদারির জন্য় সিআরপিএফ জওয়ানদের কাছে বাইক বরাবরই পছন্দের। জখম ব্য়ক্তিকে দ্রুত স্থানীয় ক্য়াম্প বা চিকিৎসার জন্য় নিয়ে যেতে বাইক অ্য়াম্বুল্য়ান্স খুব কাজে দেবে বলেও তাঁর মত।
আরও পড়ুন, লালকেল্লার কাছ থেকে অস্ত্রসহ ধৃত ২ সন্দেহভাজন
অন্য়দিকে, এ ধরনের অভিনব বাইক তৈরির সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক বললেন,''এটা এ দেশে একদম নতুন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এটার খুব চল ছিল।'' সাধারণ মানুষের উপকারেও এহেন বাইক অ্য়াম্বুল্য়ান্সের জুড়ি মেলা ভার বলেই মনে করেন ওই আধিকারিক। তিনি বলেন, ''ছত্তিশগড়ে উপজাতি এলাকায় কেউ অসুস্থ হলেও, তাঁকে চিকিৎসার জন্য় দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রেও এ ধরনের বাইক ব্য়বহার করতে পারে সিআরপিএফ।''
তবে শুধু বাইক অ্য়াম্বুল্য়ান্সই নয়, সিআরপিএফ জওয়ানদের জুতোও অত্য়াধুনিক করা হচ্ছে। পায়ে হেঁটে টহলদারির জন্য় সিআরপিএফ জওয়ানদের জন্য় বিশেষ জুতো তৈরি করা হচ্ছে। অনেক সময়েই মাওবাদীরা লোহার স্পাইক পুঁতে রাখে রাস্তায়। ফলে টহলদারির সময়, জওয়ানদের পায়ে আঘাত লাগে। এ সমস্য়া মোকাবিলা করতেই বিশেষ জুতো তৈরি করা হচ্ছে, যা এ ধরনের স্পাইকের আঘাতকে প্রতিরোধ করতে পারবে। তবে এ জুতোর ওজনে হাল্কা হবে বলেই জানিয়েছেন এক সিআরপিএফ আধিকারিক।
অন্য়দিকে, ল্য়ান্ডমাইন ঠেকাতে আরও ইএভি-র ব্য়বস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও থাকছে নতুন গ্রাউন্ড পেনাট্রেটিং র্যাডার, যা কিনা মেটাল ডিটেক্টরের থেকেও ভাল কাজ করে।