Advertisment

অবসরের দিনেই নতুন চাকরি পেলেন বিপিন রাওয়াত

সেনার তিন বাহিনীর কাজে সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবেন রাওয়াত। তবে, নিরাপত্তা বাহিনীকে কোনও নির্দেশ দিতে পারবেন না তিনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বিপিন রাওয়াত।

দেশের প্রথম 'চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ' বা সিডিএস হলেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। তাঁর অবসরের একদিন আগেই প্রতিরক্ষামন্ত্রকের সেনা বিষয়ক পদের প্রধান হিসাবে রাওতের নাম ঘোষণা করে কেন্দ্র। সেনার তিন বাহিনীর কাজে সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকবেন তিনি। তবে, নিরাপত্তা বাহিনীকে কোনও নির্দেশ তিনি দিতে পারবেন না।

Advertisment

মঙ্গলবার থেকেই নতুন দায়িত্বে যোগ দেবেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। সোমবার জানানো হয়, পুনরায় নির্দেশ না আসা পর্যন্ত রাওয়াত তাঁর কাজ চালিয়ে যাবেন। সেনাবাহিনীতে অবসরের বয়স ৬২ বছর। কেন্দ্র সম্প্রতি জানিয়েছে চিফ অব ডিফেন্স স্টাফের বয়স হবে ৬৫ বছর। সেই অনুশারে, আগামী তিন বছর তিন মাস সিডিএসের দায়িত্বে থাকবেন রাওয়াত। ২০২৩ সালের মার্চে তিনি দায়িত্ব থেকে অব্যহতি পাবেন।

আরও পড়ুন:  জাতীয় নিরাপত্তায় ঐতিহাসিক পদক্ষেপ মোদী সরকারের

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর ভারতের সেনা প্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন বিপিন রাওয়াত। তাঁর নিয়োগ ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। অভিযোগ ছিল, দু'জন সিনিয়র কর্মকর্তাকে টপকে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল রাওয়াতকে।

আরও পড়ুন: নেতৃত্ব দেওয়ার অর্থ হিংসায় এগিয়ে দেওয়া নয়: সেনা প্রধান রাওয়াত

এবছর স্বাধীনতা দিবসের দিন দিল্লির লালকেল্লা থেকে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ নামক একটি নতুন সামরিক পদ তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই পদে নিযুক্ত ব্যক্তি তিনটি সামরিক বিভাগেরই প্রধান হিসেবে গণ্য হবেন। এই পদটি তৈরি করার জন্য বহু দিন ধরেই সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছিলেন সেনাকর্তারা। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের পরেই এই পদের দাবি জানানো হচ্ছিল। সেই সময় দেশের নিরাপত্তার ফাঁকফোঁকড় খুঁজতে গঠিত একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি জানায়, একজন ‘সিঙ্গল পয়েন্ট’ অফিসার প্রয়োজন, যিনি প্রতিটি সামরিক বিভাগ পরিচলনা ও সমন্বয়ের ভার নেবেন। চলতি মাসের ২৪ তারিখ কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট ভারতের নিরাপত্তাকে আরও সুদৃঢ় করতে নজিরবিহীন পদক্ষেপ করে। চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ পদ তৈরির ব্যাপারে সম্মতি দেয় মোদী সরকার।

বিপিন রাওয়াত কর্মজীবনের শুরুতে ১৯৭৮ সালে সেনাবাহিনীর গোর্খা রেজিমেন্টে যোগ দেন। তাঁর আমলে সেনার আধুনিকিকরণ সম্পন্ন হয়। পাক ও চীন সীমান্তে প্রখর হয় সেনার কার্যকলাপ। সাম্প্রতিককালে তাঁর বেশ কয়েকটি মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

Read the full story in English

national news
Advertisment