scorecardresearch

বার্ড ফ্লু-র হানা দিল্লিতে! ১১ বছরের বালকের মৃত্যুতে আতঙ্ক

Bird flu death in Delhi: এইমসের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই বালকের সংস্পর্শে আসা দুজন স্বাস্থ্যকর্মীকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।

বার্ড ফ্লু-র হানা দিল্লিতে! ১১ বছরের বালকের মৃত্যুতে আতঙ্ক
প্রতীকী ছবি

এবার ভারতেও বার্ড ফ্লু-র হানা! মঙ্গলবার দিল্লির এইমসে মৃত্যু হল ১১ বছরের বালকের। দেশে প্রথম কোনও H5N1 এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জায় মৃত্যু হল। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে রাজধানীতে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই বালককে গত ২ জুলাই ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই বালকের সংস্পর্শে আসা দুজন স্বাস্থ্যকর্মীকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।

শুরু হয়েছিল রাজস্থানে। একের পর এক পোলট্রিতে লেগেছিল মড়ক। তারপর সেই মড়ক ছড়িয়ে পড়ে দেশের মোট আটটি রাজ্যে। কেন্দ্রের তরফে গত জানুয়ারি মাসে সতর্ক করা হয়েছিল, দেশের সাত রাজ্যে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়েছে। বার্ড ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত ধরা পড়ে উত্তর প্রদেশে। তারপরই জানা যায়, এই তালিকায় যোগ হয়েছে মহারাষ্ট্রের নামও। পরে সেই তালিকায় নাম লেখায় দিল্লিও। এবার দিল্লিতেই এক বালকের মৃত্যু হল।

বার্ড ফ্লু (Bird Flu) কী?

বার্ড ফ্লু একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় রোগ। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। এই ভাইরাসটি সাধারণত পাখিদের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়ে থাকে। পাখিরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজেই চলে যায় বলে এই রোগটিও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই বার্ড ফ্লু বায়ুবাহিত হয়।

আরও পড়ুন ‘দ্বিতীয় ঢেউয়ে অক্সিজেনের অভাবে কোনও মৃত্যু হয়নি’, সংসদকে জানাল মোদী সরকার

কী কী লক্ষণ দেখে বুঝবেন যে বার্ড ফ্লু হয়েছে?

এই ভাইরাস সংক্রমণের পর রোগীর দেহে প্রাথমিকভাবে জ্বরের লক্ষণ প্রকাশ পায়। জ্বর, গা ব্যথা, গা ম্যাজম্যাজ করা, ঠান্ডা লাগা, হাঁচি, কাশি, মাথাব্যথা, মাংসপেশি ব্যথা, বমি, পেট খারাপ এই ধরনের উপসর্গ থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ খুব বেশি দেখা যায়। মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকতে পারে। এনসেফেলাইটিস, হৃদপিণ্ডের সংক্রমণ, মায়োসাইটিস হয়। বার্ড ফ্লু-র জন্য প্রয়োজনীয় অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল ওষুধ রয়েছে।

কীভাবে এই রোগ ছড়ায়?

আক্রান্ত ব্যক্তির প্রত্যক্ষ সংস্পর্শে অন্য ব্যক্তির মাঝে বার্ড ফ্লু ছড়াতে পারে। আক্রান্ত পাখির ডিম বা মাংস সঠিকভাবে সিদ্ধ করে না খেলে বার্ড ফ্লু হতে পারে। এটি ভাইরাসজনিত একটি ছোঁয়াচে রোগ। বার্ড ফ্লু নির্ণয়ের ক্ষেত্রে, রক্তে এই ভাইরাসের অ্যান্টিবডি পিসিআর পদ্ধতিতে দেখে ভাইরাসটি শনাক্ত করা যায়।

হাঁস বা মুরগি বা অন্যান্য পাখি ধরা বা নাড়াচাড়া করা উচিত নয়। অসুস্থ হাঁস, মুরগি বা অন্যান্য পাখিদের শিশুদের থেকে দূরে রাখতে হবে। ১৯৯৭ সালে প্রথম এই H5N1 ভাইরাসের খবর প্রকাশ্যে আসে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Stay updated with the latest news headlines and all the latest General news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Bird flu death at aiims 11 year old is first recorded casualty this year