হায়দ্রাবাদে কিশোরীকে গণধর্ষণ কাণ্ডে নয়া মোড়। শনিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি বিধায়ক এম রঘুনন্দন রাও ভাষণ দেওয়ার সময় হায়দ্রাবাদের গণধর্ষণের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আনেন। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। ভিডিও দেখিয়ে তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে গণধর্ষণের ঘটনায় বিধায়ক পুত্রের জড়িত থাকার দাবি তোলেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে রাও বলেন, ‘ভিডিওতে লাল মার্সিডিজ বেঞ্চ গাড়িতে যে চার অভিযুক্তকে দেখা গিয়েছে পুলিশ তাদের আড়াল করার চেষ্টা করছে’।
পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘এই ভিডিওতে যৌন নির্যাতনে স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে’। তিনি বলেন, ‘আমি পসকো আইন মেনেই এই ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছি। ভিডিওতে মেয়েটির মুখ আড়াল করা হয়েছে। শুধুমাত্র অপরাধীদের চিহ্নিত করার জন্যই এই ভিডিও প্রকাশ্যে আনা হয়েছে’ ।এখন পুলিশের নির্ধারণ করা উচিত যে ধর্ষণের ঘটনায় বিধায়কের ছেলে জড়িত ছিল কিনা’!
আরও পড়ুন: KK-র স্ত্রীকে চাকরি-নগদ ৫ লক্ষ দেবেন মমতা! বিস্ফোরক দাবি তসলিমার
হায়দ্রাবাদ পুলিশ এখনও পর্যন্ত ১৮ বছর বয়সী সাদুদ্দিন মালিক এবং দুই নাবালককে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। যেহেতু এই ঘটনায় ভিআইপি পুত্রের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে সেজন্য বিরোধী বিজেপি এবং কংগ্রেস সিবিআই তদন্তের দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। শনিবার বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডিসিপি জোয়েল ডেভিস জানান, ‘দুই নাবালককে কিশোরকে ইতিমধ্যে আদালতে পেশ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ধর্ষণের ঘটনায় ৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যাদের মধ্যে তিনজন কিশোর। পুলিশ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকী ২ অভিযুক্ত পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। দ্রুত তাদের গ্রেফতার করা হবে’।
আরও পড়ুন: তৃণমূলে সৎ নেতা খুঁজে পেলেন তথাগত, জামাইষষ্ঠীর সকালে চর্চায় BJP নেতার টুইট
তেলাঙ্গানা বিজেপি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। তারা বলছে, এই অপরাধের ৫ জন অপরাধীর মধ্যে একজনকে মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমীন (এমআইএম) বিধায়কের ছেলে, অন্য একজন সংখ্যালঘু চেয়ারম্যানের ছেলে। বিজেপি অভিযোগ তুলছে যে, কিশোরীর বাবা-মায়ের দায়ের করা ফৌজদারি অভিযোগ সত্ত্বেও হায়দ্রাবাদ পুলিশ ধর্ষণের ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করছে। এদিকে এই ঘটনার প্রেক্ষিপ্তে চন্দ্রশেখর রাও সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে এককাট্টা বিজেপি এবং কংগ্রেস। বিজেপি এবং কংগ্রেসের তরফে এই ঘটনায় ভিআইপি যোগের প্রমাণ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে।বিজেপি বিধায়ক এম রঘুনন্দন রাও বলেন, ‘কিশোরীর ধর্ষণের মত মারাত্মক অভিযোগে রাজ্যসরকারের উচিত অবিলম্বে এই তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া’।