হায়দ্রাবাদের গণধর্ষিতার পরিচয় প্রকাশের অভিযোগে গ্রেফতার বিজেপি বিধায়ক। গত শনিবার বিজেপি বিধায়ক এম রঘুনন্দন রাও ভাষণ দেওয়ার সময় হায়দ্রাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে মুখ খোলেন। প্রাকাশ্যে আনেন একটি ভিডিও। ওই ভিডিও-তেই নির্যাতিতার পরিচয় জানাজানি হয়ে যায়। যা নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য-রাজনীতি। এরপর মঙ্গলবার পদ্ম শিবিরের বিধায়ক এম রঘুনন্দন রাও-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিধায়কের তরফে প্রকাশ্যে আনা ভিডিও-তে নির্যাতিতার ছবি এবং ভিডিও ক্লিপ ছিল। যা থেকে নাবালিকা মেয়েটির পরিচয় প্রকাশ্যে আসে বলে অভিযোগ। পুলিশ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে আইপিসি-র ২২৮-এ ধারায় মামলা রুজু করেছিল।
৪ঠা জুন, বিজেপি বিধায়ক এম রঘুনন্দন রাও সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছিলেন যে, ভিডিওতে যে ছেলেটিকে দেখা যাচ্ছিল সে এআইএমআইএম বিধায়কের ছেলে। রাও বলেছিলেন যে, 'ভিডিওতে লাল মার্সিডিজ বেঞ্চ গাড়িতে যে চার অভিযুক্তকে দেখা গিয়েছে পুলিশ তাদের আড়াল করার চেষ্টা করছে।' এছাড়াও বিধায়ক দাবি করেছিলেন, ভিডিও-তে নির্যাতিতার মুখ দেখা যাচ্ছে না এবং তাঁর পরিচয়ও জানাতে পারা যাবে না।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে আপত্তিকর মন্তব্য, গোয়া থেকে গ্রেফতার রোদ্দুর রায়
বিধায়ক এম রঘুনন্দন রাওয়ের দাবি করেছিলেন, 'আমি পসকো আইন মেনেই এই ভিডিও প্রকাশ্যে এনেছি। ভিডিওতে মেয়েটির মুখ আড়াল করা হয়েছে। শুধুমাত্র অপরাধীদের চিহ্নিত করার জন্যই এই ভিডিও প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। এখন পুলিশের নির্ধারণ করা উচিত যে ধর্ষণের ঘটনায় বিধায়কের ছেলে জড়িত ছিল কিনা!'
হায়দ্রাবাদ গণধর্ষণকাণ্ডে পুলিশ ইতিমধ্যেই ১৮ বছর বয়সী সাদুদ্দিন মালিক এবং দুই নাবালককে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে।
গত ২৮ মে কিশোরী পার্টিতে একটি পাবে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে তিন কিশোর সহ পাঁচজন কিশোরীকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সন্দেহভাজনরা কিশোরীকে গাড়ি করে বাড়িতে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। মাঝপথে মেয়েটিকে একটি মাল্টি পারপাস ভেহিকেলে (এমপিভি) যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন নির্যাতিতা।