বিজেপির ওয়েবসাইটে হানা দিল হ্যাকাররা। সাইট হ্যাক করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এখনও কোনও হ্যাকার গ্রুপ এর দায় স্বীকার করেনি। এখনও ওয়েবসাইট হ্যাক নিয়ে দলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলে নি। সাইট খুললেই ‘এরর’ অপশন দেখাচ্ছে। একইসঙ্গে অফলাইন হয়েছে বলে উল্লেখ করা হচ্ছে সাইটে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সাইটে গেলে জানা যাচ্ছিল, 'রক্ষণাবেক্ষণের' কাজ চলার ফলে সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে সাইট।
বিজেপির সাইট খুললে এমনটাই দেখাচ্ছে।
বিজেপির ওয়েবসাইট হ্যাক ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরে ওয়েবসাইট অ্যাডমিনের তরফে জানানো হয়েছে, ‘শীঘ্রই আমরা ফিরছি।’’
বিজেপির সাইটের স্ক্রিনশট।
২০১৭ সালের এপ্রিল মাস থেকে বেশ কয়েকবার হ্যাকারদের শিকার হয়েছে বিভিন্ন ভারতীয় ওয়েবসাইট। উল্লেখযোগ্যভাবে হ্যাকারদের কবলে পড়ে দেশের শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইট। ১৯ এপ্রিল বিকেলের দিকে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট হ্যাক করার খবর ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন মহলে। ‘লাইভ ল’-এর খবর অনুযায়ী জানা যায়, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ওয়েবসাইট হ্যাকের পিছনে ছিল ব্রাজিলের হ্যাকারদের হাত। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়ার খবর মেনে নেয় তথ্য প্রযুক্তি ও ইলেক্ট্রনিক্স মন্ত্রক। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট খুললেই দেখা যায় স্ক্রিনে ব্ল্যাঙ্ক পেজ, যাতে লেখা ‘সাইট আন্ডার মেইনটেনেন্স’।
এপ্রিল ২০১৭-তেই পাঁচশোরও বেশি ওয়েবসাইটে হানা দেয় দুই কাশ্মীরি হ্যাকার। পুলিশের দাবি, এরই পাশাপাশি, দেশ বিরোধী পোস্ট করার মতো গুরুতর অপরাধমূলক কাজেও জড়িত ছিল ওই দুজন। এই জোড়া অভিযোগের ভিত্তিতেই কাশ্মীরের ওই দুই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। ধৃত দু’জনের মধ্যে আদিল তেলি নামের বছর তেইশের যুবকের বাড়ি জম্মু-কাশ্মীরের কুলগাম জেলায়। এবং অন্য অভিযুক্ত বছর সাতাশের শাহিদ মাল্লার বাড়ি বারামুলায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে গান্ধীজির কুশপুতুলে গুলি চালানোর ঘটনার প্রতিবাদে হ্যাক করা হয় হিন্দু মহাসভার ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইট হ্যাক করে কেরালা সাইবার ওয়ারিয়র্স বলে হ্যাকারদের একটি দল। অবিলম্বে এ ঘটনায় ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পূজা শকুন পাণ্ডে-সহ অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানায় কেরালা সাইবার ওয়ারিয়র্স। উল্লেখ্য, মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ দিবসে তাঁর কুশপুতুলে গুলি চালান পূজা। যে ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। পরে গ্রেফতার হন পূজা।