ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে বড় ধাক্কা খেলেন ঋষি সুনাক। প্রতিদ্বন্দ্বী লিজ ট্রাসকে সমর্থন করলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে কিছুদিন আগেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী পরাজিত প্রার্থী। তিনি আবার সাধারণ কেউ নন। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সৈনিক। ওই প্রাক্তন প্রার্থী জানিয়েছেন যে প্রার্থীদের সরাসরি টিভি বিতর্কে মুখোমুখি হতে দেখার পরে, 'কেবল একজনকেই আমার মনে হয়েছে, যে তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে প্রস্তুত।'
তবে, ধাক্কা খেলেও প্রচার খামতি দিতে নারাজ সুনাক। ব্রিটেনের প্রাক্তন রাজস্ব বিভাগের প্রধান সুনাক ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ডের গ্রান্থামের গনারবি হিল ফুট এলাকায় কনজারভেটিভ এবং ইউনিয়নিস্ট পার্টির নেতা এবং পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্যে প্রচার চালিয়েছেন। বিশিষ্টদের সামনে পর্যন্ত বক্তৃতা দিয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী লিজ ট্রাস বর্তমানে ব্রিটেনের বিদেশসচিব।
আরও পড়ুন- ‘রাজা’ এখন কর্মহীনতা তৈরিতে ‘বিশ্বগুরু’, মোদীকে কটাক্ষ রাহুলের
শনিবার যে প্রাক্তন প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাসকে সমর্থন করলেন তিন হচ্ছেন টম তুগেনধাত। তিনি টোরি পার্টির পিছনের সারির নেতা। কমন্স ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান। চলতি মাসের শুরুতেই তুগেনধাত প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছেন।
তুগেনধাত জানিয়েছেন, লিজ ট্রাস অবিলম্বে ট্যাক্স কমানোরর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেই কারণেই তিনি ট্রাসের প্রচারের প্রশংসা করছেন। তুগেনধাতের কথায়, 'লিজ সবসময়ই দেশে এবং বিদেশে ব্রিটিশ মূল্যবোধের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে আমারা যে আমরা আরও নিরাপদ এবং আরও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগিয়ে যাব, সেই ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই।'
তুগেনধাত আরও জানিয়েছেন, ট্রাস ও সুনাক উভয় প্রতিদ্বন্দ্বীরই 'বিশাল গুণাবলী এবং অনেক প্রতিভা' রয়েছে। কিন্তু, বিদেশসচিব হওয়ার জন্য বিশ্ব মঞ্চে ট্রাসের জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিদেশসচিব হিসেবে তিনি এগিয়ে থেকেই লড়াই শুরু করেছেন। তিনি আমাদের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠতে পারেন।
এর আগে টোরি দলের অন্যতম হেভিওয়েট প্রাক্তন প্রার্থী প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেসও ট্রাসকে সমর্থন করেছেন। তাঁকে প্রমাণিত, সৎ এবং অভিজ্ঞ বলেও বর্ণনা করেছেন। সুনাক প্রাথমিকভাবে তাঁর দলের জনপ্রতিনিধিদের ব্যালটযুদ্ধে এগিয়ে ছিলেন। প্রথম কয়েক রাউন্ডের ভোটে তিনি এমপিদের কাছ থেকে সর্বাধিক সমর্থন পেয়েছেন। কিন্তু তারপর থেকে, টোরির সর্বস্তরের সদস্যদের পছন্দের হিসেব কষে দেখা যাচ্ছে যে ট্রাসই বেশি জনপ্রিয়। তাঁকেই সবাই ভোট দেবেন।
Read full story in English