Advertisment

লকডাউন শিথিল এলাকায় কাজে অনুপস্থিত শ্রমিকদের বেতন কাটায় সায় বম্বে হাইকোর্টের

গত ২৯ মার্চ কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় যে, লকডাউনের মধ্যে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে না পারলে তাঁদের মজুরি কাটা যাবে না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

লকডাউনের মধ্যেই বেশ কিছু এলাকায় বিধিনিষেধ শিথিল করেছিল কেন্দ্র। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে উৎপাদনের কাজ শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই গাইডলাইনের ভিত্তিতে পরিস্থিতি পর্যোলচনা করে উৎপাদন কাজ শুরুর ছাড়পত্র দেয় রাজ্যগুলি। এরপরও বিধিনিষেধ শিথিল এলাকায় যেসব শ্রমিক কাজে যোগ দেয়নি নির্দিষ্ট নিয়মের ভিত্তিতে তাঁদের মজুরি কাটা যাবে। শুক্রবার বম্বে হাইকোর্টের আওরঙ্গাবাদ বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়।

Advertisment

গত ২৯ মার্চ কেন্দ্রীয় সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় যে, লকডাউনের মধ্যেও কাজে যোগ না দেওয়ার জন্য শ্রমিকদের মজুরি কাটা যাবে না। স্থায়ী কর্মীর পাশাপাশি অস্থায়ী ও পরিযায়ী শ্রমিকদেরও মজুরি দিতে হবে সংস্থাকে। এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করেই বম্বে বাইকোর্টের বিচারপতি আর ভি ঘুগের এজলাসে মামলা দায়ের করে পাঁচ উৎপাদনকারী সংস্থা। এই পাঁচ উৎপাদনকারী সংস্থা হল- প্রেসিকিউট ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড, পুনা ক্রিশ্চান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, সিটিআর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড, ভোগলে অটোমোটিভ প্রাইভেট লিমিটেড ও এলাইন কম্পোনেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড।

আরও পড়ুন- লকডাউনে প্রথম ট্রেন চলল ১০০০ পরিযায়ী শ্রমিককে নিয়ে

আবেদনকারী সংস্থার তরফে আইনজীবী টি কে প্রভাকরণ কেন্দ্রীয় বিজ্ঞপ্তির খারিজের আবেদন জানান। আদালতে তিনি জানান, উৎপাদনের ছাড়পত্র দেওয়া হলেও শ্রমিকরা বহু জায়গায় কাজে আসতে পারছেন না। অনেক ক্ষেত্রে আশার চেষ্টাও করা হচ্ছে না। লকডাউনে কারখানার কাজ সম্পূর্ণ ব্যহত। এই পরিস্থিতিতে যেসব শ্রমিক কাজ করছে না, তাদেঁর মজুরি দেওয়ার নির্দেশ খারিজ করা হোক। কেন্দ্রের পক্ষে এই আবেদনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিতে অনুরোধ করা হয়।

আরও পড়ুন- Live: গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা সংক্রমণের রেকর্ড, মোট আক্রান্ত ৩৫ হাজারের বেশি

একই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে। ২৭ এপ্রিল সেই মামলার শুনানিতে সর্বোচ্চ আদালত কোনও অন্তবর্তী রায় না দিয়েই  মামলাটি মুলতবি করে দেয়। রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন কাটার কথা জানায় কেরালা সরকার। বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি আর ভি ঘুগে জানান,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশের যৌক্তিকতা নিয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করা হবে না। তবে, লকডাউন শিথিল এলাকায় যেসব শ্রমিকের কাজে আশার প্রয়োজন নেই, সংস্থাগুলি সেইসব শ্রমিকদের পরিবহণ ও খাওয়ার খরচ বাদ দিয়ে মজুরি দেবে।

কেন্দ্র আগেই জানিয়েছিল যে, লকডাউন শিথিল এলাকায় ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে উৎপাদন কাজ শুরু করা যাবে। কাজের সময় লকডাউন গাইডলাইন মানা হচ্ছে কিনা তা দেখভাল করবে সংস্থাগুলিই।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

PM Narendra Modi Lockdown
Advertisment