বৃহস্পতিবার ভারতে তাঁর দু'দিনের সফর শুরু করলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সকালে তিনি আহমেদাবাদ এসে পৌঁছন। প্রথম দিনের সফরে বৈঠক করেন শিল্পপতিদের সঙ্গে। আহমেদাবাদে আলাদাভাবে বৈঠক করেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি গৌতম আদানির সঙ্গেও। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে গৌতম আদানি লিখেছেন, 'বরিস জনসনের সঙ্গে বৈঠক করতে পেরে অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। এই প্রথম কোনও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গুজরাত সফরে এলেন। আদানি গ্রুপের প্রধান কার্যালয় ঘুরে দেখলেন। পুনর্ব্যবহার্য শক্তি, নতুন শক্তি ও গ্রিন এনার্জির ব্যাপারে তাঁর সমর্থন পেয়ে আপ্লুত। ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিরক্ষা এবং মহাকাশ প্রযুক্তির বিষয়েও কাজ করব।'
সফরে জনসন জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষেই ভারতের সঙ্গে ব্রিটেনের মুক্ত বাণিজ্য সংক্রান্ত আরেকটি চুক্তি হবে। ভারত এবং ব্রিটেন ইতিমধ্যেই ১০০ কোটি ইউরোর ব্যবসায়িক লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তিগত সমন্বয়, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ডিজিটাল অংশীদারিত্ব-সহ নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং রফতানি করতে ভারত এবং ব্রিটেন সম্মত হয়েছে। এছাড়াও ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য ভারত-ব্রিটেন যৌথ স্কলারশিপের মতো বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন- কোনও পূর্বশর্ত ছাড়াই কংগ্রেসে যোগ দিতে চান প্রশান্ত কিশোর, সিদ্ধান্ত নেবেন সনিয়া
সফরের শুরুতে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হোটেলে চলে আসেন বরিস জনসন। গান্ধী আশ্রম, গুজরাট বায়োটেকনোলজি ইউনিভার্সিটি ঘুরে দেখা, গান্ধীনগরের অক্ষরধাম মন্দির, ভাদোদরা শহরের কাছে হালোলে জেসিবি কোম্পানির কারখানা ঘুরে দেখার মতো নানা বিষয় ছিল জনসনের প্রথম দিনের সফরসূচিতে। এই সব দেখে জনসন কার্যত খুশি বলেই বোঝানোর চেষ্টা করেন। উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন ভারতের। জনসন বলেন, 'বিশ্বর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে এসে চমত্কৃত। আমাদের দেশগুলো (পড়ুন, ভারত ও ব্রিটেন) একসঙ্গে বিরাট সাফল্য অর্জন করতে পারবে, সেই সম্ভাবনা আমি দেখতে পাচ্ছি। আমাদের পাওয়ার হাউস অংশীদারিত্ব কর্মসংস্থান ঘটিয়েছে, বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সুযোগ তৈরি করেছে। আগামী দিনে এই অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করার দিকে আমি তাকিয়ে আছি।'
Read story in English