শুক্রবার দেশজুড়ে ছড়ানো হিংসার ঘটনায় রাঁচিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল দুই। দু'জনেরই মৃত্যু হয়েছে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে। তার মধ্যে একজন হাসপাতালে ভর্তির পর মারা যান। অন্যজন ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁর চিকিত্সা চলছিল। কিন্তু, শেষপর্যন্ত সেখানে তাঁরও মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশের অভিযোগ, দু'জনেই পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি করছিল। সেই সময় পালটা গুলি চালায় পুলিশ। গুলিতে মৃত্যু হয়েছে অভিযুক্ত দু'জনের। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের একজন বছর ২০-র সাহিল। অন্যজন বছর ১৫-র মুদাসির আলম। এর মধ্যে মুদাসির দশম শ্রেণিতে বোর্ডের পরীক্ষায় বসেছিল। ফলাফলের অপেক্ষায় ছিল।
ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস-ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এই ঘটনায় একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি বিজেপি মুখপাত্র নুপুর শর্মা হজরত মহম্মদ সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। তার প্রেক্ষিতে শুক্রবার দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়। সেই মন্তব্যের প্রতিবাদ করতেই পথে নেমেছিল বিক্ষোভকারীরা।
পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীদের দলেই ছিল সাহিল, মুদাসির। হিংসাত্মক এই বিক্ষোভে দোকানপাট লুঠপাটের অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি, পুলিশের গাড়ি-সহ বিভিন্ন গাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগও উঠেছে। এমনকী, বিক্ষোভকারীদের ছোড়া পাথরের আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহতও হয়েছেন। এরপরই পালটা গুলি চালায় পুলিশ।
আরও পড়ুন- ইসলামিক মৌলবাদীদের হুমকি, আতঙ্কে বিজেপি নেতা নবীন জিন্দলের পরিবার
এই ব্যাপারে রাঁচির এসপি (গ্রামীণ) নওশাদ আলম দ্য সানডে এক্সপ্রেসকে বলেন, 'প্রায় ১৩ জন সংঘর্ষে আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন। কারও আবার গুলি লেগেছে।' রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (RIMS) এর সুপারিনটেনডেন্ট ডা. হীরেন্দ্র বিরুয়া বলেন, 'মোট ১০ জনকে রিমসে ভর্তি করা হয়েছিল। এঁরা রাজপথে হিংসাত্মক কার্যকলাপের সময় বুলেটে আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দু'জন মারা গিয়েছেন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিরা বিপদমুক্ত বলেই চিকিত্সার পর মনে হচ্ছে।' এই পরিস্থিতিতে গুরুতর আহত ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা দেখে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই তিনি আশঙ্কা করছেন।
Read full story in English