বেআইনিভাবে ভারতে প্রবেশের অপরাধে বিএসএফের হাতে ধরা পড়ল বাংলাদেশের ব়্যাবের তিন গোয়েন্দা। শুক্রবার ত্রিপুরার সিপাহিজালা জেলার ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের রাহিমপুর গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। বিএসএপের জনসংযোগ অফিসারের তরফে জানানো হয়, ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের হেডকোয়ার্টারে খবর আসে পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক বেআইনিভাবে ভারতে ঢুকে পড়েছে। এদের মধ্যে তিন জন পুরুষ ও দু'জন মহিলা। জানা গিয়েছে, রাহিমপুর দিয়ে গত ১০ই অক্টোবর সকালে ভারতে প্রবেশ করেছে তারা।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে প্রতিবাদ চিঠি দিয়ে বহিষ্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় পড়ুয়া
বিএসএফের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, গ্রামবাসীরা ওই পাঁচজন বাংলাদেশিকে ধরে বিএসএফের হাতে তুলে দেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক তিন বাংলাদেশী ব্যক্তি স্বীকার করেছে যে তারা বাংলাদেশের ১১ নম্বর ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের সদস্য। তারা জানিয়েছে, আবু কাহির নামে এক ড্রাগ পাচারকারীকে ধরতেই তাদের ভারতে প্রবেশ করতে হয়েছে। এছাড়াও একানে লুকিয়ে রয়েছে মাসুক মিঞা নামে আরও এক ড্রাগ পাচারকারী।
আরও পড়ুন: জিয়াগঞ্জকাণ্ড: ‘বন্ধু শুধু আমাদের, আর কারোর নয়’
বাংলাদেশের গোয়েন্দারা অভিযানের জন্য রহিমপুর গ্রামে আসে কুমিল্লা থেকে। তাদের খবরদাতাদের হিসাবে দুই বাংলাদেশি মহিলাকে পথে নামানো হয়। সীমান্তের এপারে আসার জন্য একটি অটোরিকশা ভাড়া করেছিল। বিএসএফের বিবৃতিতে এই দাবি করা হয়েছে। পাচারকারীরা তাদের আত্মীয়দের বাড়িতে আত্মগোপন করেছে বলে মনে করছে গোয়েন্দারা। তাদের খুঁজতেই তাই এপারে আসে তারা। কিন্তু, তার আগেই পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Modi-Xi summit Live Updates: দ্বিতীয় দফার বৈঠক শেষ মোদী, জিনপিংয়ের
বর্ডার সিকিউরিটি অফিসাররা আটক বাংলাদেশি গোয়েন্দাদের কাছ থেকে ৭.৭৭ এমএম পিস্তল, সাত রাউন্ড গুলি, দুটি ব়্যাবের পরিচয় পত্র ও বাংলাদেশের নাগরিক পরিচয়পত্র, সাতটি মোবাইল ফোন, দেড় লাখ বাংলাদেশী টাকা মিলেছে।
শনিবার বিকেলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও বিএসএফের আধিকারিকরা ফ্ল্যাগ মিটিং-এ বসবেন। সেখানেই আটক তিন বাংলাদেশি গোয়েন্দাদের নিয়ে আলোচনা হবে।
Read the full story in English