পদ্মার বুকে বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনা ‘ভুল বোঝাবুঝি’ বলে মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। পাশাপাশি প্রয়োজনে এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ছোড়া গুলিতে এক বিএসএফ জওয়ান নিহত হন। যা নজিরবিহীন ঘটনা বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের।
ঠিক কী ঘটেছিল?
বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়, সীমান্তবর্তী পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তিন ভারতীয় মৎস্যজীবী। তাঁদের মধ্যে দু’জন ফিরে এসে কাকমারিচরের বিএসএফের শিবিরে যোগাযোগ করে জানান যে বিজিবি তাঁদের জোর করে ধরে নিয়ে যায়। বিজিবি এই দুই মৎস্যজীবীকে মুক্তি দিয়ে ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’ এর জন্য আহ্বান জানায় বিএসএফকে, এমনটাই খবর। বিএসএফ সূত্রে খবর, ফ্ল্যাগ মিটিং অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ সীমান্ত পরবর্তী ৩০০ থেকে ৪০০ মিটারের মধ্যে। এর পরই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিএসএফ জানায়, তাঁদের পাঁচজন জওয়ান ফ্ল্যাগ মিটিংএ অংশ নিতে যাওয়ার সময় বিজিবি জওয়ানরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। ঘটনাস্থলেই নিহত হন বিএসএফের হেড কনস্টেবল বিজয় ভান সিং (৫০)। এ ঘটনায় জখম হন আরেক বিএসএফ জওয়ান রাজভির যাদব।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান চাপে রয়েছে, ধূসর তালিকায় থাকা অপমানজনক: সেনা প্রধান
অন্যদিকে, এ ঘটনাকে ঘিরে দু’দেশের সীমান্তে জোর তরজা শুরু হয়েছে। এ ঘটনা প্রসঙ্গে বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিজিবির গুলির পাল্টা জবাবে একটা গুলিও চালায়নি ভারত, নেয়নি প্রতিশোধও।
Read the full story in English