Advertisment

বিএসএনএল-কে বঞ্চিত করে জিওর সুবিধে করা কেন? সারা ভারত ধর্মঘটে কর্মীরা

"প্রতিযোগী পরিষেবাদের সরিয়ে ভবিষ্যতে চড়া দামে একচেটিয়া বাজার করতে চায় রিলায়েন্স জিও। মোদী সরকার ডিজিটাল ইন্ডিয়ার আড়ালে রিলায়েন্স জিওকে সাহায্য করছে।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

"নিজের পরিষেবাতেই খেয়াল নেই সরকারের। এদিকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া তৈরিতে এক বেসরকারি পরিষেবাকেই শুধুমাত্র সুবিধে দেওয়া হয়ে চলেছে। যার জেরে মুখ থুবড়ে পড়ছে সমস্ত ভারতীয় টেলিকম পরিষেবা। রিলায়েন্স জিওর প্রতি সরকারের যে একচোখা আচরণ, সেই কারণেই ভারতে ব্যবসা করতে পারছে না তাবড় তাবড় টেলিকম পরিষেবা।" এই সার বক্তব্য ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড বা বিএসএনএল-এর, যার সমর্থনে আগামী ৩ ডিসেম্বর AUAB বা অল ইউনিয়নস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশনস অফ বিএসএনএল-এর আওতায় ভারতব্যাপী অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে নামছেন এই সরকারি সংস্থার কর্মীরা।

Advertisment

আজ এই মর্মে বিবৃতি দেন বিএসএনএল-এর সচিব দিলীপ সাহা। বলেন, প্রযুক্তিগত উন্নতি ও পে-ডিভিশন, পেনসন ডিভিশনের কিছু দাবিতে ৩ ডিসেম্বর থেকে AUAB-র আওতায় ধর্মঘটের ডাক দিতে চলেছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, গত দশ বছরে বহুবার এই দাবিগুলি জানালেও কোনো সুরাহা মেলেনি বলে মন্তব্য করেছেন দিলীপবাবু। তাই ধর্মঘটের মত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএসএনএলের কর্মচারীরা।

আগামী বছর থেকেই ফাইভ জি আসছে ভারতবর্ষে। কিন্তু এদিকে ফোর জির অনুমতি পর্যন্ত পায়নি বিএসএনএল। পায়নি আর্থিক দিক থেকে কোনো সরকারি সাহায্য। বিনামূল্যের পরিষেবার প্রতি গ্রাহকদের ঝোঁক বেশি থাকবে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। আর সেই কারণেই একচেটিয়া বাজার তৈরি করেছে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও, যারা নিখরচায় ফোর জি ব্যবহারের সুবিধা দিয়েছিল। AUAB-র অভিযোগ, "অর্থক্ষমতার বলে" খরচের থেকে কম দামে পরিষেবা দিচ্ছে জিও। যার ফলে এয়ারসেল, টাটা ডোকোমোর মত মোবাইল পরিষেবা বন্ধ হয়েছে। জোট বাঁধতে বাধ্য হয়েছে এয়ারটেল, ভোডাফোনের মতো বড় সংস্থাও। দিলীপবাবু বলেন, "প্রতিযোগী পরিষেবাদের সরিয়ে ভবিষ্যতে চড়া দামে একচেটিয়া বাজার করতে চায় রিলায়েন্স জিও। মোদী সরকার ডিজিটাল ইন্ডিয়ার আড়ালে রিলায়েন্স জিওকে সাহায্য করছে।"

আরও পড়ুন: আগে ভাগে ফাইভ জি আনছে বিএসএনএল; খরচ ৪.৯ লাখ কোটি টাকা

তাঁর দাবি, বহুবার ফোর জি স্পেকট্রামের আবেদন করলেও কোনোরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি সরকারের পক্ষ থেকে। দিলীপবাবু জানিয়েছেন, রিলায়েন্স জিওর প্রতিদ্বন্দ্বী যাতে না হয়ে দাঁড়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত এই টেলিকম পরিষেবা, সেই কারণেই ফোর জি স্পেকট্রামের অনুমোদন করা হচ্ছে না। বর্তমানে অধিকাংশ গ্রাহক ভিডিও কলিং করে থাকেন, কিন্তু বিএসএনএল গ্রাহকরা সেই সুবিধা পান না। তার জন্য পরোক্ষভাবে দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার, এমনটাই জানানো হয়েছে বিএসএনএল-এর তরফে।

টেলিকম বিভাগ (DOT) যোগাযোগ মন্ত্রী মনোজ সিনহার কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেও তিনি কর্ণপাত করেন নি এ বিষয়ে। এদিকে কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল, খুব দ্রুত ভারতে ফাইভ জি নিয়ে আসছে বিএসএনএল। "আমরা ভারতে ফাইভ জি এবং প্রযুক্তিগত পরিষেবা দিতে জাপানের সফটব্যাঙ্ক এবং এনটিটি কমিউনিকেশনসের সাথে চুক্তি সই করেছি। চুক্তির আওতায় দেশের শহরগুলি স্মার্ট হওয়ার রাস্তায় এগোবে," বলেছিলেন বিএসএনএল চেয়ারম্যান অনুপম শ্রীবাস্তব। তিনি আরও বলেছিলেন, "বিএসএনএলের বেশিরভাগ প্রতিযোগীরা এখনও ফোর জি পরিষেবাতেই আটকে রয়েছে, কিন্তু বিএসএনএল শুরু করে দিয়েছে ফাইভ জির প্রস্তুতি।" কিন্তু এবিষয়ে কর্মী সংগঠন জানিয়েছে, তাদের কাছে কোনো লিখিত তথ্য আসেনি।

bsnl narendra modi bsnl plan
Advertisment