ঘটনার প্রায় দু মাস পর বুলন্দশহরে নিহত পুলিশ ইনসপেক্টর সুবোধ কুমার সিংয়ের মোবাইল ফোন মিলল প্রশান্ত নট্টের বাড়ি থেকে। ক্যাব চালক প্রশান্তই সুবোধ কুমারের ওপর গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। গোহত্যা নিয়ে বিক্ষোভরত জনতাকে শান্ত করতে করতে গিয়ে ছিলেন সুবোধ। সে সময়েই তাঁর ওপর চড়াও হয় জনতা। যে মোবাইল ফোনটি প্রশান্ত নট্টের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি সীমিত ব্যবহারকারী (ক্লোজড ইউজার) গ্রুপের।
গত ডিসেম্বর মাসে নয়ডা-বুলন্দশহর সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রশান্তকে। পুলিশের দাবি "প্রশান্ত ইনসপেক্টর সুবোধের রিভলভার ছিনিয়ে নিয়ে তাঁর মাথায় গুলি করে। তার স্বীকারোক্তি মিলে গেছে অন্য আরেক অভিযুক্তের সঙ্গেও। এই অভিযুক্ত ব্যক্তি গত সপ্তাহেই আত্মসমর্পণের আবেদন জানিয়েছে। চিংরাবতী থানা এলাকায় হিংসার ঘটনার দিন ঝামেলা তৈরিতেও এই ব্যক্তির মদত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, লটারি জেতার নামে প্রতারণাচক্রে পাক যোগ! সিআইডি জালে ২
পুলিশ বজরং দলের কর্মী যোগেশ রাজকেও গ্রেফতার করেছে। চিংড়াবতী থানার বাইরে পাথর ছোড়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ যোগেশ অস্বীকার করেনি। এই থানাতেই পরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। একটি সূত্র জানিয়েছে, ৩ ডিসেম্বর মাহওয়া এলাকায় গো হত্যার কথা জানার পরে সঙ্গী সাথীদের খবর দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছে যোগেশ। বিক্ষোভকে হিংসাত্মক রূপ দেওয়ার ব্যাপারে এই যোগেশই মূল চক্রী ছিল বলে অভিযোগ।
সিয়ানা গ্রামের কাছে গণ হিংসার জেরে খুন হন সিয়ানার এস এইচ ও সুবোধ কুমার সিং এবং স্থানীয় যুবক সুমিত কুমার।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এর আগে গোটা বিষয়টিকে নেহাৎই দুর্ঘটনা বলে উল্লেখ করে বলেছিলেন, সুবোধকুমার সিং গণহিংসার শিকার হননি।
দিল্লির জাগরণ ফোরামে ভাষণ দেওয়ার সময়ে তিনি বলেন, "উত্তরপ্রদেশে মব লিঞ্চিংয়ের কোনও ঘটনা ঘটেনি।"