আহমেদাবাদের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) বিশেষ আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলো এক ব্যবসায়ীর। মুম্বই-দিল্লি বিমানে একটি নকল হাইজ্যাকের চিঠির মামলাকে কেন্দ্র করে অ্যান্টি হাইজ্যাকিং ২০১৬ আইনের ধারায় এই প্রথম কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হলো। মামলার রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি অভিযুক্তের পাঁচ কোটি টাকা জরিমানার কথাও ঘোষণা করে আদালত।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে বিরজু কিশোর সাল্লা নামের এক ব্যক্তি মুম্বই থেকে দিল্লিগামী জেট এয়ারওয়েজ সংস্থার বিমানে একটি চিঠি ফেলে রাখেন, যাতে লেখা ছিল, "এই বিমানটিতে অনেক হাইজ্যাকার আছে এবং বোমা মজুত করা আছে।" ২৩ জানুয়ারী অভিযুক্ত বিরজু সাল্লার বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে, "কাজটি করার সময় অভিযুক্ত কোনও পরিকল্পিত পদ্ধতি অবলম্বন করেন নি। সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে তাঁর হাইজ্যাকিং নিয়ে চিঠি লেখার পুরো ঘটনাটি।"
আরও পড়ুন: খোঁজ মিলল হারানো এএন ৩২ বিমানের
এদিন আদালতের তরফ থেকে বিরজু সাল্লাকে বলা হয়, পাঁচ কোটি টাকার জরিমানার মধ্যে বিমানের চালক এবং সহ চালককে দিতে হবে এক লক্ষ টাকা, দুজন বিমানসেবিকাকে দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা এবং বিমানের উড়ানের সময় উপস্থিত সমস্ত ক্রু সদস্যদের দিতে হবে ২৫ হাজার টাকা। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর এই হুমকি চিঠিটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুম্বই থেকে দিল্লিগামী জেট এয়ারওয়েজের বিমানটিকে জরুরী তৎপরতায় আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে নামানো হয়। ঘটনার দিন বিমানটিতে ছিলেন সাতজন ক্রু মেম্বার সহ ১১৫ জন যাত্রী।
২৩ জানুয়ারী, ২০১৭ তারিখে দায়ের করা এনআইএর অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঘটনার দিন সকালে অভিযুক্ত মুম্বইয়ের অফিসে তাঁর ল্যাপটপে 'নকল' হুমকি বার্তাটি লিখেছিলেন এবং অফিসের প্রিন্টার থেকে সেটির একটি প্রিন্ট নিয়েছিলেন, যা পরে তিনি বিমানের বাথরুমের টিস্যু পেপার বাক্সের মধ্যে ফেলে রাখেন।
অভিযোগপত্রটিতে বলা হয়, "বিরজু সাল্লা ইংরেজিতে লিখেছিলেন, ফ্লাইট নাম্বার 9W__তে হাইজ্যাকাররা আছে এবং তারা বিমানটিকে কোথাও নামতে না দিয়ে সোজা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নিয়ে যাবে। এই বিমানে ১২ জন হাইজ্যাকার রয়েছে। ল্যান্ডিং গিয়ার চালু করলেই শুনতে পাবেন যাত্রীদের মরণ চিৎকার।" অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, চিঠিতে উর্দু ভাষায় এই একই বার্তা লেখা ছিল। এনআইএর দাবি, গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করে ইংরেজি বার্তাটির উর্দু অনুবাদ করেছেন অভিযুক্ত সাল্লা।
Read the full story in English