‘বদলা নেওয়া হবে’, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশে অশান্তির পর এমন হুঁশিয়ারিই দিয়েছিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগ আদিত্যনাথ। পুলিশ-বিক্ষোভকারী সংঘর্ষে ১৬ জনের মৃত্যুতে কার্যত থমথমে যোগীরাজ্য। বিক্ষোভের আগুনের শিখা নিভতে না নিভতেই এবার সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ক্ষতিপূরণ আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু করে দিল যোগী প্রশাসন। সিএএ বিক্ষোভে যে পরিমাণ সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য ২৮ জনকে নোটিস পাঠিয়েছে রামপুর জেলা প্রশাসন। নোটিসে ক্ষতিপূরণের হিসেব দেওয়া হয়েছে ১৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা।

এ প্রসঙ্গে রামপুর জেলাশাসক এ কে সিং বলেন, ‘‘আমরা ২৮ জনকে নোটিস পাঠিয়েছি। পুলিশি তদন্তে এই ২৮ জনের ভূমিকা দেখা গিয়েছে। ওদের বিরুদ্ধে পুলিশ তথ্যপ্রমাণও পেশ করেছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তা না হলে আমরা ক্ষতিপূরণ আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু করব। এই ২৮ জনের মধ্যে কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছেন। তবে অভিযুক্ত ও তাঁদের পরিজনরা প্রমাণ-সহ আবেদন জানাতে পারবেন’’। নোটিসে মোট ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ১৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা।
আরও পড়ুন: দেশজোড়া বিতর্কের মাঝেই এনপিআর শুরু করল কেন্দ্র
জানা গিয়েছে, এই ২৮ জনের মধ্যে রয়েছেন একজন এমব্রয়ডারি কর্মী ও এক মশলা বিক্রেতা। প্রশাসনের এই নোটিস পেয়ে রীতিমতো চিন্তায় তাঁদের পরিজনরা। এ প্রসঙ্গে এমব্রয়ডারি কর্মী জামিরের মা মুন্নি বেগম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘‘এখনও কোনও নোটিস পাইনি। জামিরের জন্য আইনজীবীর ব্যবস্থা করতে পারছি না টাকার অভাবে। সেখানে কীভাবে ক্ষতিপূরণের টাকা দেব?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কেন জামিরকে পুলিশ নিয়ে গেল জানি না। পরে ওকে আটক করা হল। হিংসার ঘটনার দিন ও বাড়িতেই ছিল। ও নির্দোষ’’। হিংসার ঘটনায় জামিরের প্রতিবেশী মেহমুদকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মেহমুদও নির্দোষ বলে দাবি করেছেন তাঁর পরিজনরা। একইসঙ্গে ক্ষতিপূরণের টাকা কীভাবে তাঁরা দেবেন, সে নিয়েও চিন্তায় মেহমুদের পরিবার।
Read the full story in English