Advertisment

দেশজোড়া বিতর্কের মাঝেই এনপিআর শুরু করল কেন্দ্র

তবে, বাংলা ও কেরালা সরকার ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রেশনের কাজ তারা রাজ্যে লাগু করবে না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

এনপিআরের কাজ শুরু করল কেন্দ্র।

এনপিআর শুরু করল কেন্দ্র। ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রার আপডেটের জন্য অর্থবরাদ্দের সুপারিশ করা হয়েছিল। সেই সুপারিশেই ছাড়পত্র দিল প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের রিপোর্ট অনুশারে এনআরপি আপডেট করতে ৮,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র।

Advertisment

এনপিআর হল দেশের সাধারণ বাসিন্দাদের এক তালিকা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বক্তব্য অনুযায়ী, যাঁরা অন্তত গত ৬ মাস ধরে একটি এলাকায় থাকছেন, বা পরবর্তী ৬ মাস ধরে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় থাকার পরিকল্পনা করছেন তাঁরাই দেশের সাধারণ বাসিন্দা। এনআরসি-তে যেমন নাগরিকত্বের বিষয় রয়েছে, এনপিআর তেমন কিছু নয়। ৬ মাসের বেশি সময় ধরে কোনও ভিনদেশি কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় বসবাস করলে তাঁর নামও এ তালিকায় নথিভু্ক্ত হবে।

আরও পড়ুন: বিশ্লেষণ: এনপিআর কী, এ নিয়ে এত বিতর্ক কেন?

১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন ও ২০০৩ সালের নাগরিকত্ব (নাগরিকের নথিভুক্তিকরণ ও জাতীয় আইডেন্টিটি কার্ড) বিধি অনুসারে এনপিআর তৈরি করা হচ্ছে। ভারতের প্রত্যেক স্বাভাবিক বাসিন্দার এনপিআরে নাম নথিভুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক। ২০২১ সালের জনগণনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীন ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দফতর এই কাজ চালাবে। আসামে যেহেতু সদ্য এনআরসি-র কাজ শেষ হয়েছে, সেখানে এনপিআর হবে না। এনপিআর প্রক্রিয়া চলবে স্থানীয়, উপজেলা, জেলা, রাজ্য ও জাতীয় স্তরে। রেজিস্ট্রার জেনারেলের দফতর ইতিমধ্যেই এখটি পাইলট প্রকল্প চালুও করে দিয়েছে। ১২০০ জেসা ও ৪০টি ছোট বড় শহরের বাসিন্দাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: বাংলার পর কেরালায় বন্ধ হল ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রারের কাজ

জাতীয় স্তরে এনআরসি কার্যকর করার ভাবনা প্রয়োগ করা করতে গেলে তার ভিত্তি হবে এই এনপিআর-ই। বাসিন্দাদের তালিকা প্রস্তুত হয়ে গেলে জাতীয় স্তরে এনআরসি তৈরি করা সম্ভব হবে এই তালিকা থেকে নাগরিক যাচাই করার মাধ্যমে। এই ভাবনা ঘিরেই এনআরপি নিয়ে মানুষের মনে সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে, কেন্দ্রের যুক্তি দুটি বিষয়ের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। তবে তা মানতে রাজি নয় মমতা ও বিজয়নের সরকার।

জনবিন্যাসের তথ্য এবং বায়োমেট্রিক তথ্য দুইই সংগ্রহ করবে এনপিআর। জনবিন্যাসের তথ্যের ২১টি বিভাগ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে নাম, জন্মস্থান, শিক্ষা ও পেশা যা রেজিস্ট্রার জেনারেলের দফতর সংগ্রহ করবে। বায়োমেট্রিক তথ্যের জন্য নির্ভর করা হবে আধারের উপর। সে জন্য বাসিন্দাদের আধার তথ্য চাওয়া হবে। এ ছাড়া পরীক্ষামূলকভাবে মোবাইল নম্বর, আধার, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার আইডি কার্চ এবং পাসপোর্ট (ভারতীয় নাগরিকদের ক্ষেত্রে) চাইছে রেজিস্ট্রার জেনারেলের দফতর। জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র রেজিস্ট্রেশন আপডেট করার কাজও চলছে।

Read the full story in English

nrc PM Narendra Modi
Advertisment