দেশ জুড়েই জ্বালানীর জ্বালা অব্যাহত। গত কয়েক দিনে বেশ অনেকটাই বেড়েছে পেট্রোল ডিজেলের দাম। সংকটে পড়েছেন পরিবহন পেশার সঙ্গে জড়িত মানুষজন থেকে আদ আদমি। এবার পেট্রোল ডিজেল সহ সিএনজির দাম কমানোর দাবিতে দিল্লির যন্তর মন্তরে আন্দোলনে নামেন ক্যাব চালকরা। যদিও তাদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন একাধিক সংগঠন।
দিল্লি ট্যাক্সি, ট্যুরিস্ট ট্রান্সপোর্টার্স এবং ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন, দিল্লির সর্বোদয়া ড্রাইভার অ্যাসোসিয়েশন, এক্সপার্ট ড্রাইভার সলিউশন, সর্বোদয় ড্রাইভার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনও এই বিক্ষোভে সামিল হন। দিল্লি ট্যাক্সি, ট্যুরিস্ট ট্রান্সপোর্টার্স এবং ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সঞ্জয় সম্রাট বলেন, “সিএনজি এবং জ্বালানির ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধির কারণে পরিবহন ব্যবসায়ে সংকট নেমে এসেছে। ব্যবসা টিকিয়ে রাখাই এখন দায় হয়ে যাচ্ছে। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্যাব ও ট্যাক্সি চালকরা”। তার অভিযোগ সিএনজির দাম প্রতি কেজি ৭০ টাকা পর্যন্ত উঠছে। ভাড়া না বাড়ানোর কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন পরিবহন ব্যবসায়ীরা। এমনিতেই করোনা কালে দু বছর ব্যবসা মার খেয়েছে। এখন এতদিন পর আবার আয়ের আশায় রাস্তায় নেমেছেন ট্যাক্সি, ক্যাব চালকরা কিন্তু এভাবে দাম বাড়তে থাকলে তাদের পক্ষে ট্যাক্সি অথবা ক্যাব চালানো দুষ্কর হয়ে পড়বে”।
দাম বৃদ্ধি নিয়ে গতকাল সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ৩ টে পর্যন্ত আন্দোলনে সামিল হন ট্যাক্সি এবং ক্যাব চালক সংগঠন সেই সঙ্গে তাদের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে। জ্বালানীর দাম না কমলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চালকরাও দাবি করেছেন যে দিল্লি সরকার বা কেন্দ্রের উচিত বাস এবং ক্যাব চালকদের ভর্তুকির ব্যবস্থা করা। সর্বোদয় ড্রাইভার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রবি রাঠোর বলেছেন ‘আমাদের দাবি হয় জ্বালানির দাম বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভাড়া বাড়াতে হবে আর তা হলে জ্বালানির দাম কমাতে হবে অবিলম্বেই’।
আরও পড়ুন: মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত ২৫ ছাত্র, পুরো ক্যাম্পাসকেই কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা
ভারতীয় বেসরকারি পরিবহন মজদুর মহা সঙ্ঘের সভাপতি রাজেন্দ্র সোনি বলেন, “দাবি না মানা হলে আমরা ১৮ এপ্রিল থেকে লাগাতে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। গত ২-৩ বছরে সিএনজির দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সরকার মদে ছাড় দিচ্ছে এবং বিদ্যুতের খরচে ভর্তুকি দিচ্ছে, কিন্তু আমাদের সাহায্য করার জন্য কিছুই করেনি।”
Read story in English