সর্বদলীয় সরকার গঠনের পথে আরও একধাপ এগোল শ্রীলঙ্কা। পদত্যাগে রাজি হলেন দ্বীপরাষ্ট্রের মন্ত্রীরা। সর্বদলীয় সরকার গঠনের পর বর্তমান মন্ত্রীরা পদত্যাগ করবেন। পার্লামেন্ট নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নেবে ২০ জুলাই। এমনটাই জানিয়েছে সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর দফতর। তার মধ্যেই বিপদ যে তারা ভারতের সাহায্যই চাইছে, আরও স্পষ্ট করে দিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের সরকার। শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় বা রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন যে ভারতের সাথে ১০০ কোটি ডলারের চুক্তি করতে চলছে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রশাসন।
অর্থনৈতিক সমস্যার জন্যই শ্রীলঙ্কায় বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু, শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সেই কথা মাথায় রেখে, শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় বা রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর পদত্যাগ করবেন কি না, সেই প্রশ্ন অনেকেরই। কারণ, গভর্নরই শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় বা রিজার্ভ ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করেন। কিন্তু, শ্রীলঙ্কার রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর জানিয়েছেন যে তিনি পদত্যাগ করবেন না। তাঁর ওপর গুরুদায়িত্ব রয়েছে। আর, তিনি আগামী ছয় বছর ধরে সেই দায়িত্ব পালন করবেন।
তার মধ্যেই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রাসাদ থেকে তাঁরা সরবেন না-বলেই বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য আগে পদত্যাগ করতে হবে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষ ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেকে। তারপরই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরে আসবেন বিক্ষোভকারীরা। এর আগে সোমবার সকালে প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষ এই দ্বীপরাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেক জানিয়ে দেন যে তিনি পদত্যাগ করবেন।
আরও পড়ুন- বিমানসেবিকাদের পর টেকনিশিয়ানরা কর্মবিরতিতে, কেন প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ইন্ডিগো কর্মীরা?
বুধবার তিনি পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন। যদিও বিক্ষোভকারীরা রাজাপক্ষর এই সব বক্তব্য বিশ্বাস করতে রাজি নন। একইসঙ্গে তাঁরা রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেকেও বিশ্বাস করতে নারাজ। এই ব্যাপারে বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, আগে রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে এবং গোটাবায়া রাজাপক্ষকে পদত্যাগ করতে হবে। তারপর তাঁরা বিক্ষোভ বন্ধ করবেন।
দু'দিন আগেও পুলিশ ও প্রশাসনের যে কর্তাদের বিক্ষোভকারীদের বিরোধিতা করতে দেখা যাচ্ছিল, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর প্রাসাদ দখল হয়ে যাওয়ার পর এখন তাঁরাও বিক্ষোভকারীদের রুখতে কোনও পদক্ষেপ করছেন না। চুপ হয়ে বসে রয়েছে শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীও। এই পরিস্থিতিতে নতুন সর্বদলীয় সরকার গঠন অবশ্যম্ভাবী। শেষ পর্যন্ত সেই বাস্তবতাকে মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্টকে ২০ জুলাই নির্বাচিত করবে কলম্বোর পার্লামেন্ট।
Read full story in English